পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, গত কয়েকমাস ধরেই বীরভূমের প্রতিটি বাজারে আলুর দাম ঊর্ধ্বমুখী। ৩০-৩২ টাকা কেজি দরে ক্রেতাদের আলু কিনতে হচ্ছে। আলুর দাম বৃদ্ধিতে বাসিন্দারা কার্যত নাজেহাল। দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে বীরভূমে জেলা প্রশাসন ও পুলিস বিভিন্ন বাজারে হানা দেয়। একাধিকবার ব্যবসায়ী, হিমঘর মালিকদের নিয়ে জেলা প্রশাসন বৈঠক করে। এমনকী, বীরভূম-ঝাড়খণ্ড সীমানায় আলুর ট্রাকে অভিযান চালানো হয়। ট্রাক ওভারলোডিং থাকায় বহু আলু বাজেয়াপ্ত করে প্রশাসন। কিন্তু, তারপরও বাজারে আলুর দাম চড়া। এই অবস্থায় জেলা প্রশাসন স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির মাধ্যমে সরকারি মূল্যে আলু বিক্রি শুরু করেছে। গত রবিবার জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সুফল বাংলা ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টলগুলিকে আলু সরবরাহ করা হয়। সোমবার থেকে জোরকদমে আলু বিক্রি শুরু হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সিউড়ি, বোলপুর, আহমদপুর, রামপুরহাট ও তারাপীঠে পাঁচটি সুফল বাংলা বিপণন কেন্দ্র রয়েছে। সেখান থেকে ২৫টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করা হচ্ছে। তার সঙ্গে ১৪টি জায়গায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টলেও আলু মজুত করা হয়েছে। এক-একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে অন্তত ৫০কেজির ২০ বস্তা করে আলু সরবরাহ করা হয়েছে। ক্রেতারা মাথাপিছু চার কেজি পর্যন্ত আলু কিনতে পারবেন।
সিউড়িতে থানা সংলগ্ন একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টলে আলু বিক্রি হতে দেখা গিয়েছে। সেখানে স্বনির্ভর দলের তরফে ২৫টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করা হচ্ছে বলে ব্যানারও টাঙানো হয়। আলুর সঙ্গে সেখানে মহিলাদের তৈরি নারকেল নাড়ু, জ্যাম, আচার, স্যানিটাইজারও বিক্রি হচ্ছে।
মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য মধুমিতা দাস বলেন, গত রবিবার থেকে কিছুটা আলু বিক্রি শুরু হয়েছে। ওইদিন এক একজনকে তিন কেজি করে বিক্রি করেছি। ক্রেতাদের চাহিদা থাকায় এদিন থেকে চার কেজি করা হয়েছে। এরফলে পুজোর আগে ক্রেতারা যেমন কিছুটা সস্তায় আলু কিনতে পারছেন। আমাদেরও কিছু উপার্জন হচ্ছে।
কৃষি বিপণন দপ্তরের বীরভূম জেলা আধিকারিক অচিন্ত্য থোকদার বলেন, প্রাথমিকভাবে ৫০টন আলু বিক্রি শুরু করা হয়েছে। আরও ১০টন আলুর অর্ডার দেওয়া হয়েছে। পুজোর আগে এই আলু বিক্রি হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, প্রথম দিন থেকেই আলু বিক্রিতে সাড়া পাওয়া গিয়েছে। তাই একাধিক স্বনির্ভর গোষ্ঠী প্রথম ২০ বস্তা করে পেলেও বরাদ্দ আরও বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থেকে আলু কেনা হচ্ছে। সেইমতো অর্ডার দেওয়া হবে।