পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের তিলক রোড সর্বজনীন দুর্গাপুজো ১০ বছর ধরে মহিলারা পরিচালনা করেন। করোনা আবহে এবার পুজোয় সচেতনতার উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কমিটির সদস্যা মধুমিতা গুহ বলেন, এবছর আমাদের বাজেট অনেক কম। আমরা সরকারি সমস্ত বিধি নিষেধ মানার উপর জোর দেব। গোটা ফলের প্রসাদ হবে। দোকানের মিষ্টি আনা যাবে না। ঘরোয়াভাবে তৈরি নাড়ু দিয়ে পুজো দেওয়া হবে।
কাঁকসার নতুনপাড়া সর্বজনীন মহিলা পরিচালিত দুর্গাপুজোয় সংক্রমণ রুখতে নানা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কমিটির সম্পাদিকা সুদেষ্ণা রাই গোস্বামী বলেন, এই এলাকায় নতুন বসতি গড়ে উঠেছে। আগে দুর্গাপুজো হতো না। তাই গত বছর পাড়ার পাঁচজন মহিলা মিলে প্রথম উদ্যোগ নিয়ে পুজো শুরু করেছি। পুজোর চারদিন মণ্ডপে খাওয়াদাওয়া সহ ব্যাপক আনন্দে মেতে ওঠে ছোটো থেকে বড় সকলেই। তবে এবার করোনা আবহে পুজোয় অনেক কিছুরই পরিবর্তন এসেছে। খাওয়া-দাওয়া, সিঁদুর খেলা বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও মিষ্টির বিষয়ে আমরা বিশেষভাবে সচেতন। ঘরের তৈরি নাড়ু দিয়ে পুজো সারব।
ওই এলাকারই আন্তরিক সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটিতে ৪০ জন মহিলা রয়েছেন। চাঁদা আদায় থেকে পুজোর জোগার ও লরিতে করে প্রতিমা নিয়ে আসা সবটাই করেন তাঁরা। এবার সরকারি বিধিনিষেধ মেনে মণ্ডপে থাকছে মাস্ক ও স্যানিটাইজার। গোটা ফলের প্রসাদ। তৈরি হচ্ছে নারকেল ও খইয়ের নাড়ু। কমিটির সম্পাদিকা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী পুজোর অনুমতির পাশাপাশি অনুদান দিয়েছেন। আমরা তাতে খুবই খুশি হয়েছি। সমস্ত রকম বিধিনিষেধ পালন করা হবে। দুর্গাপুরের ধাণ্ডাবাগ পূর্বাঞ্চল সর্বজনীন এবার করোনা সংক্রান্ত একটি থিম ফুটিয়ে তুলেছে। এলাকার প্রায় ২৫ জন মহিলা কমিটির পুরুষ সদস্যদের সঙ্গে এই পুজোর আয়োজন করেন। এবার পুজোর থিম মাঙ্গলিক ঘট পুজো। মণ্ডপটি ছাতার আকারে। মণ্ডপে বেশকিছু মডেল তৈরি করা হয়েছে। ওই মডেলগুলি করোনা সংক্রমণ এড়াতে দূরত্ব বজায় রাখার বার্তা দিচ্ছে। একটি আট ফুটের মাটির ঘটের মধ্যে মা দুর্গা অসুর বধ করছেন। ছ’ফুটের দু’টি মাটির মাঙ্গলিক ঘটে দেবী দুর্গার চার সন্তান রয়েছেন। মণ্ডপে রয়েছেন মৎস্যকন্যা রূপে মা দুর্গার আরও একটি প্রতিমা। ওই প্রতিমা হাতে করে মানুষকে অন্ধকার জগৎ থেকে তুলে প্রদীপের আলোর শিখায় নিয়ে আসছেন। মণ্ডপ সজ্জায় দায়িত্বে থাকা শিল্পী সোমনাথ অধিকারী করোনার সচেতনার এক নজিরবিহীন দৃশ্য তুলে ধরেছেন।
কমিটির সদস্য বিধান খাঁ বলেন, করোনা আবহে মণ্ডপসজ্জা সকল দর্শনার্থীদের খুব ভালো লাগবে বলে আশা করি। আমরা মণ্ডপে স্যানিটাইজার ও মাস্কের ব্যবস্থা করেছি। ফল প্রসাদ বিতরণ বন্ধ করা হয়েছে। যাঁরা পুজো দিতে ইচ্ছুক, তাঁদের ঘরের তৈরি মিষ্টি ও গোটা ফল আনার জন্য আবেদন করা হয়েছে।
আসানসোলের একটি প্রতিমা। - নিজস্ব চিত্র