বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
অবশেষে শুক্রবার প্রতারিত এক যুবক সাহস করে থানায় অভিযোগ করায় পুরো বিষয়টির পর্দা ফাঁস হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃত অভিযুক্ত প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় পুরুলিয়ার মণিহারার বাসিন্দা। তবে গ্রেপ্তার হওয়ার প্রতারকের দাবি, সে আসানসোলের এক ব্যক্তির কাছে এক লক্ষ টাকা দিয়ে এই এসিপি পদ পেয়েছে। তার কথা মতোই নিজের টিম প্রস্তুত করছিল। পুলিসের প্রাথমিক ধারণা, এই চক্রের শিকড় অনেক গভীরে রয়েছে। এমনকী যেভাবে দিল্লি, মুম্বইয়ের বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থার ভুয়ো আই কার্ড উদ্ধার হয়েছে, তাতে তাদের সন্দেহ আন্তঃরাজ্য প্রতারণা চক্রও হতে পারে এটি। পুলিস অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে এই চক্রের মূল পাণ্ডাকে ধরতে মরিয়া। ডিসি(পূর্ব) অভিষেক গুপ্তার বলেন, আমরা একজনকে গ্রেপ্তার করেছি। প্রাথমিকভাবে এটি অত্যন্ত বড় প্রতারণাচক্র বলেই মনে হচ্ছে। ভিন রাজ্যের সঙ্গেও যোগ থাকতে পারে।
দক্ষিণ বাঁকুড়ার এক বাসিন্দার দুর্গাপুরের সিটিসেন্টারে অম্বুজায় সেলুন রয়েছে। ভাইপো মুম্বইয়ে কাজ করত। কিন্তু লকডাউনে কাজ হারিয়ে বাড়িতেই। চিন্তা ছিল কীভাবে কাজ জুটবে। এমনই সময়ে ‘মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের এক এসিপি’ তাঁর কাছে চুল কাটতে আসে। এতবড় অফিসার তাঁর কাছে চুল কাটছে, কোনও অহঙ্কার নেই। পিস্তলও রয়েছে। একদিন সাহস করে ভাইপোর জন্য কাজ জোগাড়ের কথা বলেই দেন। ব্যস ‘শিকার’ হয়ে যান তাঁর ভাইপো। এবার কাজ করে দেওয়ার নামে নানা অছিলায় টাকা লুট করতে থাকে স্বঘোষিত এসিপি। কিন্তু কাজ না হওয়ায় অভিযোগ করেন এই ব্যক্তি। এরপরেই পর্দা ফাঁস হয়। পুলিস তার ভাড়াবাড়িতে অভিযান চালিয়ে প্রচুর ভুয়ো আই কার্ড, ভুয়ো অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার উদ্ধার করেছে। ছ’মাস ধরে এখানে বসে এই কাজ করেছে অভিযুক্ত।