নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: বেলডাঙার ঝুনকা পূর্বপাড়া গ্রামে এক যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতের পরিবারের লোকজনের দাবি, তাঁকে অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বেহুঁশ করার পর খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওষুধের একটি পাতাও বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে। ওই যুবকের স্ত্রীর সঙ্গে এলাকার চারজনের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। তারাই তাঁকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে। পরিবারের লোকজন তাঁর স্ত্রী সহ ওই চারজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছে। বেলডাঙা থানার পুলিশ মৃত যুবকের স্ত্রীকে আটক করেছে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম আনিসুর শেখ (৩২)। তিনি দিনমজুরের কাজ করতেন। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ঘটনার রাতে ছেলেমেয়েদের অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মৃতের দাদা শাহাজাহান শেখ বলেন, অবৈধ প্রেমিক ওই চারজন তাঁর ভাইয়ের বাড়িতে প্রায় সময়ই বসে থাকত। কখনও কখনও তারা পালা করে আসত। ভাইয়ের স্ত্রী তাদের সঙ্গে গল্পে মত্ত থাকত। সেটা ভাই মেনে নিতে পারেনি। তাই প্রতিবাদ করেছিল। সেই কারণে তাকে আগেও খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। অত্যন্ত পরিকল্পনা করে তাকে খুন করা হয়েছে। আমাদের অনুমান কোনও কিছুর সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। তারপর শ্বাসরোধ করা হয়। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর বাড়িতে একটি গাছে তাঁকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের পরিবারে প্রায় দু’তিন বছর ধরে অশান্তি চলছিল। উভয় পক্ষকেই থানায় ডেকে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। গ্রামের ওই চারজনের তাঁদের বাড়িতে যাতায়াতের কথা পাড়ার লোকজনও জানতেন। তাঁরাও মৃতের স্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। মৃতের পরিবারের লোকজন আরও জানিয়েছেন, ভাতের সঙ্গে সম্ভবত ঘুমের ওষুধ মেশানো হয়েছিল। উদ্ধার হওয়া পাতায় সাতটি ওষুধ ছিল না। ওই ওষুধগুলি তাঁকে খাওয়ানো হয়েছিল। মুর্শিদাবাদের পুলিস সুপার কে শবরী রাজকুমার বলেন, থানায় অভিযোগ হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।