পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, ধৃতদের নাম ভৈরব বন্দ্যোপাধ্যায়, রতন রায়, পূর্ণিমা দে, গোবিন্দ দে ও মতিলাল কোনার। তাদের মধ্যে রতনের বাড়ি মঙ্গলকোটের কেশবপুর গ্রামে। বাকিরা গুসকরা শহরের বাসিন্দা।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গুসকরা শহরের বাসিন্দা সব্যসাচী মণ্ডল রেলের চাকরির প্রলোভনে পড়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। সোমবার এনিয়ে আউশগ্রামের গুসকরা ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন। তারপর তদন্তে নেমে পুলিস এই প্রতারণা চক্রের হদিশ পায়। ধৃতদের মধ্যে গোবিন্দ ও পূর্ণিমা স্বামী-স্ত্রী। অভিযোগকারী জানিয়েছেন, তিনি মায়ের সঙ্গে পূর্ণিমার বাড়িতে গিয়েছিলেন। তখনই সে তাঁকে রেলে চাকরির টোপ দিয়েছিল। শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র নেয়। পাঁচ লক্ষ টাকা দিলে রেলের গ্রুপ-ডি পদে চাকরি করে দেওয়ার কথা বলেছিল।
সব্যসাচী বলেন, শংসাপত্র নেওয়ার পর থেকে ধাপে ধাপে মোট ৪ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা দিয়েছি। পূর্ণিমা আমাকে সঙ্গে নিয়ে শিয়ালদহ গিয়েছিল। সেখানে রেলের একটি অফিসে বসিয়ে আমার ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। তারপর চাকরির নিয়োগপত্র দেয়। সেই নিয়োগপত্র নিয়ে লিলুয়ায় চাকরিতে যোগ দিতে গিয়ে জানতে পারি, সেটি ভুয়ো। এরপরই আমি পূর্ণিমার কাছে টাকা ফেরত চাই। কিন্তু সে টাকা দিতে অস্বীকার করে। তারপরই পুলিসের দ্বারস্থ হই।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগ পেয়ে গুসকরার দোনাইপুর এলাকার বাসিন্দা গোবিন্দ ও তার স্ত্রী পূর্ণিমাকে প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস রতনের সন্ধান পায়। এরপর সোমবার রাতে রতনের দেওয়া তথ্য অনুসারে ভৈরবকে শহরের একটি চায়ের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারপর মতিলালকে জালে তোলে পুলিস। পুলিস ধৃতদের জেরা করে জানতে পেরেছে, এই পাঁচজনের মাথা ভৈরব। সে পূর্ণিমার কাছ থেকে তার দেওরের রেলের চাকরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রথমে দু’লক্ষ ৬০ হাজার টাকা নেয়। রতনের মারফত সেই টাকা দিয়েছিল পূর্ণিমা। এরপর মতিলালের ছেলের চাকরির জন্যনও ছ’লক্ষ টাকা নেয় ভৈরব। পরে তারাই মোটা টাকা কমিশনের লোভে ভৈরবকে চাকরির জন্য প্রার্থী খুঁজে দিত।
ভৈরবের পাশাপাশি সরাসরি এই চক্রের কলকাতার এক এজেন্টকেও পূর্ণিমা ও মতিলাল চাকরি প্রার্থী সরবরাহ করত। এভাবে কমিশনের লোভে মতিলাল বিভিন্ন এলাকার চাকরি প্রার্থী খুঁজে ১৩ জনের থেকে মোট ১৯ লক্ষ টাকা তোলে। পূর্ণিমা পাঁচজনের কাছ থেকে মোট ১১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা তুলেছিল। সব মিলিয়ে মোট ৪১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার প্রতারণার হিসেব এখনও অবধি পেয়েছে পুলিস। জেলার পুলিস সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ধৃতদের জেরা করে এই চক্রে আরও কারা জড়িত রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।