কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জনপ্রতিনিধি হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় দেশের আইনকানুন সবরকমভাবে রক্ষা করার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন তাঁরা। সামাজিক দায়িত্বও পালনের কথা বলেন তাঁরা। কিন্তু সে সব ভুলে এক নাবালিকাকে বিয়ে করে বসলেন পঞ্চায়েতের প্রধান। অভিযোগ অন্তত এমনটাই। বিয়ের পর ১৫দিন কেটে গেলেও ঘটনার কথা কারও জানা ছিল না। নাবালিকার বিয়ে আটকাতে অনেকক্ষেত্রে বিভিন্ন পঞ্চায়েতে যাঁরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকায় থাকেন এখানে তেমন জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় ক্ষোভও তৈরি হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এদিন চাইল্ড লাইনের জেলার কো-অর্ডিনেটর সহ আরও কয়েকজন নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে পোড়াগাছায় প্রধানের বাড়িতে যান। যদিও ওই নাবালিকাকে যে খোদ প্রধান বিয়ে করেছেন তা তাঁদের জানা ছিল না। পরে তা জানতে পারেন তাঁরা। স্ত্রীর বয়সের প্রমাণ দেখানোর জন্য প্রধানকে বলা হয়। কিন্তু তা না দেখিয়ে দুর্ব্যবহার এবং অসহযোগিতা করেন বলে অভিযোগ। এরপর চাইল্ড লাইন সেখান থেকে ফিরে আসতে বাধ্য হয় এবং গোটা বিষয়টি ভীমপুর থানা এবং জেলার সমাজকল্যাণ আধিকারিককে জানানো হয়।
জেলাশাসক বিভু গোয়েল বলেন, এব্যাপারে অভিযোগ করা হচ্ছে। নদীয়া জেলার সমাজকল্যাণ আধিকারিক অভিজিৎ দাশগুপ্ত বলেন, ঘটনার কথা শুনেছি। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার আগে সংবাদমাধ্যমে কিছু বলতে পারব না। জেলা পুলিসের এক কর্তা বলেন, এরকম একটি বিষয় আমরাও জানতে পেরেছি। চাইল্ড লাইন থেকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। অভিযোগ দায়ের হলেই নিয়মমতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এব্যাপারে জানতে জেলার পুলিস সুপারকে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। জেলা সমাজকল্যাণ দপ্তর থেকেই এব্যাপারে থানায় অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে রাত পর্যন্ত ওই প্রধান তাঁর স্ত্রী যে সাবালিকা সেব্যাপারে কোনও প্রমাণই দেখাতে পারেননি।
চাইল্ড লাইনের হাতে কন্যাশ্রী বিষয়ক তথ্য রয়েছে। যেখান থেকে তারা জেনেছে, প্রধানের স্ত্রীর বয়স ১৫। তার বাপের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে। এব্যাপারে প্রধান বলেন, আমি দু’দিন পরে যা বলার যা দেখানার দেখাব। এখন আমি কিছুই বলতে চাই না। তবে পোড়াগাছার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য বাহার আলি মণ্ডল বলেন, মন্দিরে বিয়ে করেছিলেন। পরে ওঁর বাড়িতে অনুষ্ঠানও হয়। আমরা কয়েকদিন আগে মেয়েটি নাবালিকা বলে জানতে পারি। আজ বাড়িতে পুলিস ও প্রশাসনের লোক আসে। একজন প্রধানের এই কাজ কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়। সমাজে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে। পুলিস আইন অনুযায়ী সব ব্যবস্থা নেবে এটাই আমাদের দাবি।
বিজেপির নদীয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার মিডিয়া কনভেনর সন্দীপ মজুমদার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। বিজেপির কিষাণ মোর্চার রাজ্য সভাপতি তথা নদীয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সভাপতি মহাদেব সরকার বলেন, খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। তবে এমন কিছু ঘটে থাকলে তা দল কখনোই সমর্থন করবে না। খুবই অন্যায় কাজ হিসেবে আমরাও ধরে নেব। চাইল্ড লাইনের ডিস্ট্রিক্ট কো অর্ডিনেটর দেবব্রত কর্মকার বলেন, এদিন একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি জেলার সমাজকল্যাণ দপ্তর এবং পুলিসকে জানানো হয়েছে।