বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁথি-৩ ব্লকের দেবেন্দ্র ও ভাজাচাউলি গ্রাম পঞ্চায়েতের সীমান্তে ধান্দালিবাড় এলাকায় একটি রেস্তরাঁয় মদের দোকান চলছে। এর ফলে এলাকার পরিবেশ কলুষিত হচ্ছিল বলে অভিযোগ। সেই দোকান বন্ধের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে একজোট হচ্ছিলেন স্থানীয় পাঁচ-সাতটি গ্রামের বাসিন্দা। তাঁরা মদ বিরোধী নাগরিক কমিটি গঠন করে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করেন। দোকান বন্ধ করার দাবিতে এদিন গণস্বাক্ষর সম্বলিত দাবিপত্র নিয়ে বিডিও এবং থানায় ডেপুটেশন দেওয়ার কথা ছিল। সেখানে যাওয়ার আগে কয়েকজন রাস্তার উপর দাঁড়িয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় মদের দোকানের ম্যানেজারের নেতৃত্বে কিছু যুবক তাঁদের উপর হামলা চালায়। ব্যাপক মারধর করা হয়। ৭৫ বছরের এক বৃদ্ধও আক্রান্ত হন। ডেপুটেশনের কাগজপত্র, টাকাপয়সা, মোবাইল ফোন ছিনতাই করা হয় বলে অভিযোগ। বাইকগুলি পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় পার্শ্ববর্তী পাঁচবেড়িয়া ও আমড়াতলিয়া এলাকার সহস্রাধিক পুরুষ-মহিলা লাঠিসোঁটা নিয়ে সেখানে জড়ো হন। তাঁরা হামলাকারী দু’একজনকে ধরে উত্তম-মধ্যম দেন। তবে মূল হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পাশাপাশি বিক্ষোভকারীরা মদের দোকানে ভাঙচুর চালান। দোকান ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। উত্তেজনা বাড়তে থাকলে পুলিস ঘটনাস্থলে যায়। বলাই মণ্ডল, কলেজ ছাত্রী বিতস্তা মণ্ডল বলেন, এলাকায় তিনটি হাইস্কুল সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মদের দোকান গড়ে ওঠায় পরিবেশ নষ্ট হতে বসেছিল। মহিলাদের প্রতিদিন মদ্যপদের অত্যাচারের শিকার হতে হচ্ছিল। অথচ যাঁরা মদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন, তাঁদের উপরই হামলা চালানো হল। অবিলম্বে এখানে মদের দোকান বন্ধ না হলে আমরা আগামী দিনে বড়সড় আন্দোলনে নামব।
এদিনের ঘটনায় বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, এলাকার তৃণমূলের নেতাদের প্রশ্রয়েই মদের দোকানটি রমরমিয়ে চলছিল। তৃণমূলের প্ররোচনায় আন্দোলনকারীদের উপর হামলা চালানো হল। যদিও এলাকার তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি বিকাশচন্দ্র বেজ বলেন, এসব ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের যোগ আছে, এই দাবি হাস্যকর। এলাকার মানুষ একজোট হয়ে মদের দোকানের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন।