পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জেলায় আরও ১০০জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কৃষ্ণনগর শহরের প্রশাসনিক ভবনে ফের থাবা বসাল করোনা। জেলাশাসকের কার্যালয়ে এক কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। জেলা পরিষদ চত্বরে থাকা ডিআরডিসি বিল্ডিংয়ের এক রক্ষীর পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। দু’দিনে কুপার্স ক্যাম্প ফাঁড়ির তিন পুলিসকর্মী ও আট সিভিক ভলান্টিয়ার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে এক আধিকারিকও রয়েছেন। আক্রান্তরা সকলেই উপসর্গহীন বলে জানিয়েছেন কুপার্স ক্যাম্প ফাঁড়ির ওসি সুমন দত্ত। আপাতত আক্রান্তদের সকলকেই রানাঘাটে পথসাথীতে সেফ হোমে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বাইরে বেরলে মাস্ক পরার জন্য বারবার অনুরোধ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও কৃষ্ণনগর, তেহট্ট সহ বিভিন্ন জায়গায় অনেকেই মানছেন না। জেলার অধিকাংশ জায়গা থেকেই অভিযোগ এসেছে, মাস্ক না পরে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অনেকে। তেহট্টে জলঙ্গি নদীর খেয়া পারাপারের সময় ঘাট কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের মাস্ক ব্যবহার করতে নিয়মিত সচেতন করছে। কিন্তু তাতেও যাত্রীরা কর্ণপাত করছেন না। এদিন খেয়াঘাটে পুলিসি নজরদারি চালানো হয়। ওই এলাকা এবং নাজিরপুর ও মালিয়াপোতা বাজার থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসডিপিও শ্যামল মণ্ডল বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাস্তায় পুলিসি টহল ও নজরদারি চালানো হবে।
একসঙ্গে এতজন পুলিসকর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ার আক্রান্ত হওয়ায় কুপার্স ক্যাম্প ফাঁড়িতে সাধারণ মানুষের ঢোকা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। তবে থানার কাজকর্ম স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রানাঘাট থানার আইসি রাজকুমার মালাকার বলেন, সংক্রমণ এড়াতে সাধারণ মানুষজনকে আপাতত রানাঘাট থানায় আসার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ওই থানা স্যানিটাইজ করা হয়েছে। কুপার্স ক্যাম্প পুরসভার চেয়ারম্যান শিবু বাইন বলেন, পুরসভার পক্ষ থেকে দু’দিন স্যানিটাইজ করা হচ্ছে।
কৃষ্ণনগর শহরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সার্কেল অফিসের এক কর্মী করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর বাকি দশজনের সোয়াব টেস্ট হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে শান্তিপুর পুরসভা ও চাপড়া ব্লকের দশজন করে, কৃষ্ণনগর পুরসভা, হাঁসখালি ও শান্তিপুর ব্লকের আটজন করে, নবদ্বীপ ও রানাঘাট-১ ব্লকের সাতজন করে, কৃষ্ণনগর-১, তেহট্ট-১ ও রানাঘাট-২ ব্লকের পাঁচজন করে, চাকদহ, হরিণঘাটা, করিমপুর-১ ও নাকাশিপাড়া ব্লকের চারজন করে, কুপার্স ক্যাম্প এলাকা, কল্যাণী ও রানাঘাট পুরসভার দু’জন করে এবং চাকদহ পুরসভা, করিমপুর-২ ও কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের একজন করে রয়েছেন।
শান্তিপুর পুরসভার ১৪নম্বর ওয়ার্ডের তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন। রানাঘাট পুরসভার ১৪নম্বর ওয়ার্ডের একই পরিবারের দু’জন আক্রান্ত হয়েছেন। রানাঘাট-১ ব্লকের রামনগর-১ পঞ্চায়েত এলাকার একই পরিবারের তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও ওই ব্লকের হবিবপুর এবং নপাড়া মাসুন্দা পঞ্চায়েত এলাকার একজন করে বাসিন্দা আক্রান্ত হয়েছেন।