বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গত ২২ জুলাই রাজ্য সরকার সারা রাজ্যে দু’হাজার বনসহায়ক পদ তৈরি করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। ফরেস্ট গার্ডদের মতোই হাতি তাড়ানো, বনজ সম্পদ সুরক্ষা প্রভৃতির কাজ করবেন বনসহায়করা। ১০০ নম্বরের মূল্যায়ন করে বনসহায়ক পদে নিয়োগ করা হবে। তার মধ্যে বাংলা পড়তে পারা এবং লিখতে পারার জন্য ৩০নম্বর করে মোট ৬০ নম্বরের মূল্যায়ন হবে। ইংরেজি কিংবা হিন্দি পড়তে পারলে ১০ নম্বর, জেনারেল নলেজ ২০ নম্বর এবং ফিটনেস পরীক্ষায় থাকছে আরও ১০ নম্বর। নিয়োগের জন্য বনদপ্তরের সার্কেল ভিত্তিক সার্কেল এনগেজমেন্ট বোর্ড(সিইবি) গঠন করা হয়েছে। তাতে মোট তিনজন সদস্য থাকবেন।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় দু’টি ইন্টারভিউ বোর্ড বসানো হচ্ছে। প্রতিটি বোর্ডে দু’জন করে সদস্য থাকবেন। সেখানে প্রতিদিন দু’শো করে আবেদনকারীকে ডেকে ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। প্রত্যেক আবেদনকারীর মোবাইলে এসএমএস যাবে। এসএমএস-ই অ্যাডমিট কার্ড হিসেবে গণ্য হবে। মাসিক ১০হাজার টাকা বেতনের ওই পদে নিয়োগের জন্য জেলাজুড়ে সক্রিয় দালালচক্র। এজন্য মোটা অর্থ তোলা চলছে বলেও অভিযোগ উঠছে। এদিকে কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে হাজার হাজার কর্মপ্রার্থীকে ডেকে ইন্টারভিউ নেওয়ার সিদ্ধান্তে বনদপ্তরের কর্মীদের একটা অংশ ক্ষুব্ধ। এর ফলে ইন্টারভিউয়ে অংশ নেওয়া কর্মীদের সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে বলে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
পূর্ব মেদিনীপুরের তুলনায় পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে আরও বেশি সংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বনদপ্তরের তিনটি ডিভিশন রয়েছে। মেদিনীপুর, রূপনারায়ণ ও খড়্গপুর ডিভিশনে মোট ৬৫ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। ওই জেলায় মোট পদের সংখ্যা ১৬০। ঝাড়গ্রাম জেলায় বনসহায়ক পদের সংখ্যা ৬০। মোট আবেদন জমা পড়েছে ৪৮ হাজার। তিন জেলায় মোট ১০টি ইন্টারভিউ বোর্ডে প্রতিদিন দু’হাজার আবেদনকারীকে ডাকা হবে।
বনসহায়ক পদটি চুক্তিভিত্তিক। কিন্তু, পারফরম্যান্সের নিরিখে পুনর্নবীকরণ হবে। তাই সরকারি এই পদের জন্য বিপুল সংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে। তাছাড়া যেভাবে উচ্চ ডিগ্রিধারীরা এইট পাশ যোগ্যতায় বনসহায়ক পদে আবেদন করেছেন, তাতে বনদপ্তরের কর্তারাও অস্বস্তিতে পড়েছেন। বাংলায় পড়তে এবং লিখতে পারার জন্য বরাদ্দ নম্বর ৬০। আর সেখানে এমএ, এমএসসি পাশ ও বিএড উত্তীর্ণরা দলে দলে আবেদন করেছেন।
বিপুল সংখ্যক আবেদনকারীর জন্য কোথায় ইন্টারভিউ নেওয়া হবে, তা নিয়ে গত ১৫দিন ধরে বিস্তর টালবাহানা চলেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। শেষমেশ নিমতৌড়িতে ৪১নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে খাঁ খাঁ প্রান্তরে নবনির্মিত অফিসে ইন্টারভিউয়ের ভেনু চূড়ান্ত করেছেন বনদপ্তরের অফিসাররা। উল্লেখ্য, ওই অফিস এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয়নি। পূর্ব মেদিনীপুরের ডিএফও অনুপম খান বলেন, আমাদের জেলায় ১০টি বনসহায়ক পদে মোট ১৮ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। ৫ অক্টোবর থেকে ইন্টারভিউ শুরু হবে। ইন্টারভিউ চলবে দু’মাস।