বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার পূর্ব বর্ধমানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে চার হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। জেলায় এখনও পর্যন্ত ৬৬ জনের মৃত্যুও হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। তবে, জেলায় সুস্থতার হারও ভালো। সোমবার পর্যন্ত জেলায় গড় সুস্থতার হার ৮৬.১৩ শতাংশ। মৃত্যুর সংখ্যা ১.৪৬ শতাংশ। যাঁদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে, তাঁরা করোনায় সংক্রমণ হলে তাঁদের সহ অসুস্থতার আরও অবনতি হচ্ছে। ফলে, বিপদের ঝুঁকি বেড়ে যায়। পূর্ব বর্ধমানে করোনায় মৃত ও আক্রান্তদের মধ্যে অনেকের কো-মর্বিডিটি পাওয়া গিয়েছে। তবে, কো-মর্বিডিটি থাকা সত্ত্বেও জেলায় বহু মানুষ আক্রান্ত হয়েও সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাঁরা দিব্যি রয়েছেন।
স্বাস্থ্যদপ্তরের দাবি, কো-মর্বিডিটি সমীক্ষা একটি বড় কাজ। আজ পর্যন্ত এই ধরনের কাজ হয়নি। সারা জেলার মানুষ কে কী অসুখে ভুগছেন, তা জানা যাবে। স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে তার তথ্য থাকবে। ফলে, করোনা ছাড়াও তাঁরা কোনও কারণে হাসপাতালে ভর্তি হলে তাঁদের চিকিৎসা করতেও সুবিধা হবে। কারণ, যে কোনও চিকিৎসায় রোগীর কেস হিস্ট্রি জানা থাকলে চিকিৎসা করতে সুবিধা হয়। গত ২৫ আগস্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি ভার্চুয়াল প্রশাসনিক বৈঠক করেছিলেন। ওই বৈঠক থেকেই তিনি সব জেলাতেই এই কো-মর্বিডিটি সমীক্ষার নির্দেশ দেন। সেই মতো পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সেপ্টেম্বর মাস থেকেই এই বিশেষ সমীক্ষা শুরু করে দিয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামীণ এলাকায় আশাকর্মীরা এবং শহরে পৌর স্বাস্থ্যকর্মীরা এই কাজ করছেন। স্বাস্থ্যদপ্তরের পক্ষ থেকে তাঁদের সবাইকে নির্দিষ্ট প্রশ্নপত্রও দেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রশ্ন করছেন। যেমন, উচ্চ রক্তচাপ তথা হাই প্রেসার, সুগার, কিডনির সমস্যা, শ্বাসকষ্ট, ক্যান্সার সহ একাধিক অসুখের তথ্য নেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে কতদিন ধরে অসুখে আক্রান্ত হয়েছেন, কী ওষুধ খাচ্ছেন, কতদিন ধরে ওষুধ খাচ্ছেন এই তথ্যও নেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে তাঁদের সবার মোবাইল নম্বরও স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে রাখা হচ্ছে। ওই নম্বর ধরে স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীরা মনিটারিংও করতে পারবেন। অনেক আগে থেকেই করোনার জন্য আশাকর্মী ও পৌর স্বাস্থ্যকর্মীরা এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করছেন। সেই সঙ্গে এখন ডেঙ্গু সচেতনতা নিয়েও তাঁরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। তাই তাঁদের দিয়েই এই সমীক্ষার কাজ করানো হচ্ছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের দাবি, পূর্ব বর্ধমান ছ’টি পুরসভা এবং ২৩ ব্লকের অধীনে ২১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। তাই এই সমীক্ষার কাজ শেষ করতে একটু সময়ও লাগবে।
পূর্ব বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণবকুমার রায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমরাও জেলায় কো-মর্বিডিটির সমীক্ষা শুরু করেছি। পুরসভা থেকে পঞ্চায়েত এলাকা মিলিয়ে সব জায়গাতেই এই গুরুত্বপূর্ণ সমীক্ষা চলছে।