বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সমবায় দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমে প্রায় ৩২০টি সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি রয়েছে। সেখানে গড়ে প্রায় ৫০০জন করে চাষি সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। নিজেদের চাষের সুবিধার্থে সমবায় সমিতির মাধ্যমে তাঁরা ঋণ নেন। সমবায় দপ্তর সেই ঋণ অনুমোদন করে। এক্ষেত্রে চাষিরা সমবায় সমিতি থেকে ঋণের টাকা সংগ্রহ করেন। তাতে এককালীনই চাষিদের ঋণের টাকা নিতে হয়। কিন্তু, এবার চাষিদের লেনদেনের সুবিধার জন্য রুপে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হবে।
সমবায় দপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, চলতি বছরে যাতে বেশি পরিমাণ চাষি কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের আওতায় আসতে পারেন সেইজন্য রাজ্য সরকার জোর দেয়। বীরভূমে এরজন্য এক লক্ষ ১০ হাজার চাষিকে কার্ড দেওয়ার টার্গেট দেওয়া হয়। সেই কাজ জেলায় এখনও চলছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৭২ হাজার চাষিকে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের আওতায় এনে এরজন্য ঋণের অনুমোদন দিয়েছে সমবায় দপ্তর। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেই কাজ চলবে। চাষিদের আপাতত সেই প্রকল্পের আওতায় এনে একটি করে পাসবুক দেওয়া হচ্ছে। তার সঙ্গে চাষিদের ফসলের বিমাও হয়ে থাকছে। ফসলের ক্ষতি হলে চাষিরা ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন।
সমবায় দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় ২৬৯টি সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিকে পস মেশিন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, সেগুলি আপাতত কোনও কাজে লাগেনি। রুপে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হলে তবেই ওই মেশিনের সাহায্যে চাষিরা টাকা তুলতে পারবেন। ধাপে-ধাপে প্রয়োজনমতো সেই টাকা তাঁরা পাবেন। সমবায় সমিতির মাধ্যমেই সেই কাজ হবে।
দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, জেলায় প্রথম ধাপে ৫০ হাজার রুপে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের বরাত দেওয়া হয়েছে। সেই কার্ড জেলায় এলে তা চাষিদের মধ্যে বিলি করা হবে। বীরভূমে বর্তমানে বোরো চাষ অনেক বেশি মাত্রায় হয়। তাই সেসময় রুপে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হলে সেখান থেকে তাঁরা সুবিধা পাবেন।
দপ্তরের দাবি, রুপে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে চাষিরা নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী টাকা তুলতে পারবেন। পুরো টাকা প্রয়োজন না হলে তা ফের সমবায় ব্যাঙ্কেই ফেরত আসবে। ঋণ নেওয়া টাকার উপরে চাষিদের সুদ দিয়ে তা মেটাতে হবে।
তবে সমবায় দপ্তর রুপে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের পাশাপাশি সিএসপি(কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট) তৈরির জন্যও উদ্যোগী হয়েছে। গ্রামাঞ্চলে ব্যাঙ্কের অসুবিধা রয়েছে। তাই সেইসব সিএসপি থেকে চাষিরা সহজে নিজেদের ঋণের টাকা তুলতে পারবেন। ইতিমধ্যে কিছু জায়গায় সেই পদ্ধতি শুরুও করা হয়েছে। সরকারের অন্যান্য প্রকল্পের আর্থিক সুবিধাগুলিও সেখান থেকেই পাওয়া যাবে।