বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ওই এলাকায় একসময় সিপিএম হার্মাদদের ক্যাম্প ছিল। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে তারাই ওই বন্দুকগুলি রেখেছিল। এখন তা প্রকাশ্যে আসছে।
যদিও সিপিএমের জেলা সম্পাদক তরুণ রায় এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, সিপিএমের অস্ত্রের কখনও দরকার পড়ে না। ভবিষ্যতেও পড়বে না। আসলে একসময় মাওবাদীদের সঙ্গে তৃণমূলের যোগ ছিল। মাওবাদী-তৃণমূলই ওখানে আগ্নেয়াস্ত্র রেখেছিল। তারাই অস্ত্র ব্যবহার করত। ঘটনার যথাযথ তদন্ত হলেই সব বেরিয়ে যাবে।
এদিন গোপন সূত্রে পুলিস জানতে পারে, জঙ্গলে মাটির নীচে বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। সেই মতো পুলিস তল্লাশি চালায়। জেলা পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, এদিন তল্লাশি চালিয়ে আটটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সবই দেশি বন্দুক। দশ বছরের বেশি মাটির নীচে থাকায় সেগুলি অকেজো হয়ে গিয়েছে।
উখলা গ্রামের বাসিন্দা সুশান্ত দে বলেন, ১০ বছর আগে ওই জঙ্গল দিয়ে আমরা কেউ ভয়ে যেতাম না। বাড়ি থেকেও কম বের হতাম। এদিন জেসিবি মেশিন নিয়ে পুলিসের একটি গাড়ি ওই জঙ্গলের দিকে যায়। গ্রাম থেকে উখলা শাল জঙ্গলটি প্রায় আধ কিলোমিটার দূরে। জঙ্গলের ভিতরে পুলিসকে যেতে দেখে অনেকেই সেখানে যাই। কিন্তু, আমাদের কাউকে কাছে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি। জঙ্গল লাগোয়া একটি ড্রেন রয়েছে। ড্রেনের পাশেই মাটির অনেকটা নীচে ওই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি রাখা ছিল। জেসিবি মেশিনে গর্ত করে বন্দুকগুলি পুলিস উদ্ধার করেছে।
গোয়ালতোড়ের উখলা গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্র। -নিজস্ব চিত্র