গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এ ব্যাপারে প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য কুশল মুখোপাধ্যায় বলেন, এনিয়ে আমরা পুরসভায় আলোচনা করেছি। খুব দ্রুত শহরের বিকল পথবাতি সারানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশাকরি পুজোর আগেই আলোকিত হয়ে উঠবে শহর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকবছর আগে গুসকরা শহরের অধিকাংশ বিদ্যুতের খুঁটিতে লাগানো হয় পথবাতি। তাতে দুশো ওয়াটে বাল্বের ব্যবহার করা হয়। পরবর্তীকালে পুরসভার তরফে ওই সমস্ত পথবাতি সরিয়ে এলইডি আলো লাগানো হয়। এলইডির উজ্জ্বল আলোয় ঝলমল করে ওঠে শহর। কিন্তু ইদানীংকালে শহরের অধিকাংশ পথবাতি খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ। এর ফলে সন্ধার পর শহরের রাস্তায় যাতায়াতে সমস্যা বাড়ছে। এনিয়ে বারবার পুরসভায় জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ এলাকাবাসীর।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, গুসকরার রটন্তী কালীতলায় রয়েছে একটি মাত্র হাইমাস্ট লাইট। বছর দুয়েক আগে পুরসভার নিজস্ব তহবিল থেকে সেটি লাগানো হয়। তাছাড়া গুসকরা শহরে বর্তমানে ৩১৩০টি এলইডি লাইট লাগানো রয়েছে। ১-৮ নম্বর ওয়ার্ডে ১৪৯৫টি ও ৯-১৬ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে ১৬৩৫টি পথবাতি। তার মধ্যে এখন প্রায় ৯৫৯টি পথবাতি বিকল হয়ে পড়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রায় দু’বছর আগে গুসকরা পুরসভায় বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে। বোর্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর একজন ম্যাজিস্ট্রেট পদমর্যাদার অফিসারকে প্রশাসক পদে বসিয়ে এতদিন প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে চলছিল পুরসভা। অবশেষে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের ঠিক করে দেওয়া তিন সদস্যের নতুন প্রশাসকমণ্ডলী সোমবার গুসকরা পুরসভার দায়িত্বভার গ্রহণ করে। তারপরই তড়িঘড়ি মঙ্গলবার তাঁরা শহরের পথবাতি নিয়ে পুরসভার আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক বসেন। সেখানেই শহরে বিকল হয়ে থাকা পথবাতিগুলি দ্রুত ঠিক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।