বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, পঞ্চায়েত এলাকায় সকাল ৬টা থেকে বেলা সাড়ে১১টা পর্যন্ত সব্জি, মাছ, মাংসের দোকান খোলা থাকবে। বিকেলে সেগুলি বন্ধ রাখতে হবে। অন্যান্য দোকানপাট খোলা থাকবে সকাল থেকে দুপুর ১টা ৩০পর্যন্ত। খাবারের দোকান খোলা থাকবে রাত ৮টা পর্যন্ত। পাশাপাশি লোক জমায়েত নিয়েও সতর্ক করা হয়েছে।
পূর্বস্থলী-২ বিডিও সৌমিক বাকচি বলেন, সম্প্রতি পূর্বস্থলীর একটি কোচিং সেন্টার থেকে পড়ুয়ারা করোনা আক্রান্ত হয়েছে। পড়ুয়াদের থেকে তাদের পরিবারেও সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এই এলাকার করোনা সংক্রমণ রুখতে আমরা কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাজার হাট ও দোকান খোলা রাখতে হবে। অযথা প্রচুর লোকের জমায়েত করা চলবে না। সকলের সহযোগিতা প্রযোজন। বেলগাছি গ্রামের ক্ষেত্রেও লোক জমায়েতে নিষেধ করা হয়েছে। ওই গ্রামে প্রচুর করোনা আক্রান্ত হয়েছে। রবিবার বেলগাছিতে স্পেশাল ক্যাম্প করে করোনা পরীক্ষা করা হবে।
সম্প্রতি পূর্বস্থলীর একটি কোচিং সেন্টার থেকে করোনা সংক্রমণের পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। পড়ুয়াদের থেকে তাদের বাবা, মা, ভাই, বোন সহ পরিবারের সদস্যরা আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর। যদিও ওই কোচিং সেন্টারে অধিকাংশ পড়ুয়া করোনা পরীক্ষা করাতে রাজি হচ্ছে না। তাদের মনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
বাড়িতে অনেকে অক্সিমিটার, অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত করেছেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁদের বিষয়ে খোঁজ খবর রাখছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পড়ুয়া বলে, হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য যেতে বলেছিল। কিন্তু ভয়ে হাসপাতালমুখো হইনি। একবার যদি ওরা বলে যে করোনা হয়েছে, তাহলে মনোবল ভেঙে যাবে। হয়রানি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তার থেকে করোনা পরীক্ষা না করিয়ে বাড়িতে ভালোই আছি। কোনও উপসর্গ নেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাজার হাট নিয়ন্ত্রণের উপর স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশিকা সাতদিন বলবৎ থাকবে। সংক্রমণ না কমলে সময়সীমা আরও বাড়ানো হবে বলেও জানানো হয়েছে। এর মধ্যে পূর্বস্থলী রেলবাজার, চুপি ও কাষ্ঠশালিতে সব্জি, মাছ, মাংসের বাজার বসে। তবে, সন্ধ্যা থেকে বেশি লোক জমায়েত থাকে পূর্বস্থলী স্টেশন রোডে। পাশাপাশি মাঠে ফুটবল ম্যাচ আয়োজনেও নিষেধ করেছে প্রশাসন।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পার্টি অফিসে এক সপ্তাহের জন্য জমায়েত নিষেধ করা উচিত।
পূর্বস্থলী-২ ব্লক হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলগাছি গ্রামে এক সপ্তাহের মধ্যে ২৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বাইরের অধিকাংশ মানুষজন ওই গ্রামে যেতে চাইছেন না।
করোনা সংক্রমণ নিয়ে এক রেলপুলিস বেলগাছিতে ফিরেছিলেন। রিপোর্ট গোপন করে তিনি এলাকায় সংক্রমণ ছড়িয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পারুলিয়া, পলাশপুলি গ্রামেও সংক্রমণ ছড়িয়েছে। দুই পঞ্চায়েতের তরফে মাইকিং করে প্রচার চালানো হচ্ছে। সংক্রমণ নিয়ে সকলকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।