পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্যদপ্তরের একটা বড় অংশ মানছেন, করোনা পরিস্থিতিতে যাতে কোনওভাবেই ডেঙ্গুর প্রকোপ না বাড়ে সে জন্য সকলেই প্রথম থেকেই সচেতন ছিলেন। যথাযথ পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। প্রশাসন এবং স্বাস্থ্যদপ্তরের মিলিত প্রচেষ্টায় এ বছরের চিত্রটাই বদলে গিয়েছে। জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিতকুমার দেওয়ান বলেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্তর সংখ্যা এ বছর খুব বেশি নয়। এখন পর্যন্ত ৮৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই সময় পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫০০। ২০১৯ সালে এই সময়ের মধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১৫০০ উপরে। সেপ্টেম্বরের শেষে যা দু’হাজার পেরিয়ে গিয়েছিল।
এ বছর যদিও প্রথম দিকে চিত্রটা এমন ছিল না। গত বছরের থেকে জুন মাসেই ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা তিনগুণ বেশি ছিল নদীয়ায়। করোনা আবহের মধ্যেই জোরালো থাবা বসিয়েছিল ডেঙ্গু।
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের একটি সূত্রে খবর, গত বছর সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝির পর থেকে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ে। এ বছর এখনও সেই সময় অতিবাহিত হয়নি। তবে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, গত বছর থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বছর প্রথম থেকেই মশাবাহিত রোগ কমাতে ব্যাপকভাবে মাঠে নেমেছিলেন সকলে। আগের থেকে মানুষও সচেতন হয়েছেন। সব মিলিয়েই এ বছর সংক্রমণ কমেছে। ওই কর্তা বলেন, আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই। ডেঙ্গু মোকাবিলায় সকলেই সতর্ক হয়ে তাঁদের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। তা বহাল থাকবে।
পাশাপাশি, ব্লকস্তরের স্বাস্থ্যকর্তা বা ব্লক প্রশাসনের কর্তারা বলছেন, গত কয়েকটি বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গু পরীক্ষাও তুলনামূলকভাবে কম হয়েছে। আবার জ্বর নিয়ে ডেঙ্গু সন্দেহে আগে যেমন মানুষ হাসপাতালে আসত, সেই প্রবণতাও এ বছর কমেছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে যে সার্ভে চালানো হয়, তাতে অনেকেই জ্বর থাকলেও তা গোপন করেছেন। কারণ, অনেকেই মনে করছেন, ডেঙ্গুর বদলে যদি করোনা ধরা পড়ে, তবে বিস্তর ঝামেলা পোহাতে হবে। সে কারণেই পরীক্ষা কম হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অপরেশ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বার বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।