পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক প্রশাসনিক বৈঠকে গ্রামীণ রাস্তাগুলির দিকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। সেজন্য পুজোর আগেই জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরুর নির্দেশও তিনি দিয়েছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে বীরভূম জেলা পরিষদ আট কোটি টাকা পেয়েছে। বীরভূমে পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি বা জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণে থাকা গ্রামীণ রাস্তাগুলির জরুরি ভিত্তিতে মেরামতির কাজ করা হবে ওই টাকায়। এরকম ৩৭টি রাস্তার কাজ আগামী অক্টোবরের মধ্যেই প্রাথমিকভাবে শেষ হবে। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সমস্ত রাস্তারই নির্মাণকাজ শেষ করার সময়সীমা নেওয়া হয়েছে। জেলায় এই সময়ের মধ্যে ১৬৯ কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ষার মরশুমে জেলার বহু রাস্তা বেহাল হয়ে পড়েছে। কোথাও আবার প্রায়দিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বেহাল রাস্তার সংস্কারের জন্য বার বার আবেদন করছেন। জেলা পরিষদের দাবি, পুজোর আগে কিছু রাস্তা সংস্কার হয়ে যাবে।
এবার জেলা পরিষদ পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকাও পেয়েছে। প্রথম কিস্তিতে জেলা পরিষদ প্রায় আট কোটি টাকা পেয়েছে। সেই টাকাতেও ২৬টি রাস্তা আপাতত সংস্কারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৪০টি জলপ্রকল্প হবে। লাভপুর ব্লকের ৪০টি এলাকায় সাবমার্সিবল বসিয়ে বাসিন্দাদের জলের সমস্যা মেটাতে চাইছে জেলা পরিষদ। তার কাজও শুরু হতে চলেছে।
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২০২০-’২১ আর্থিকবর্ষে অর্থ কমিশনের বরাদ্দে ৮৩টি প্রকল্পের কাজ করবে জেলা পরিষদ। তার মধ্যে ৪৯টি রাস্তা, নিকাশি ও জল প্রকল্পের বরাত দেওয়া হয়েছে। প্রথমে অর্থ কমিশনের টাকায় ২৬টি রাস্তার সংস্কারের কাজ করবে জেলা পরিষদ।
জেলা পরিষদের এক ইঞ্জিনিয়ার বলেন, অর্থ কমিশনের বরাদ্দ হিসেবে বীরভূম জেলা পরিষদ প্রায় ৩২ কোটি ৪৬ হাজার টাকা পাবে। সেই টাকায় কাজের জন্য আগেই প্রকল্পের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আপাতত আট কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। সেই টাকায় প্রাথমিক কাজ শুরু হচ্ছে।
জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খান বলেন, প্রত্যেক ব্লকেই অর্থ কমিশনের বরাদ্দে রাস্তা, নিকাশি ও উন্নত জলপ্রকল্প করা হবে। এখন লাভপুরে ৪০টি জল প্রকল্প হচ্ছে। অন্যান্য ব্লকগুলিতেও সেই কাজ হবে।