কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন ভোররাতে খড়্গপুর ডিভিশনের দিক থেকে কংসাবতী নদী পেরিয়ে ৩০-৩৫টি হাতির একটি দল মেদিনীপুর সদর ব্লকে ঢোকে। প্রথমে নদী পেরিয়ে তেঁতুলিয়া এলাকায় ধানের জমির উপর দিয়ে হাতির দলটি যেতে থাকে। দূর্বাচটি, ফরিদচক এলাকায় জমির ধান খেয়ে নেয় তারা। ততক্ষণে গ্রামবাসীরা খবর পেয়ে জমির দিকে ছুটে আসেন। শতাধিক বাসিন্দা এসে জড়ো হতেই হাতির দল ফের জমির উপর দিয়ে হেলেদুলে হাঁটতে শুরু করে। মণিদহ, বেড়াপাল হয়ে পলাশিয়া গ্রামে ঢোকে। হাতির দলের পিছনে পিছনে আশপাশের গ্রামের মানুষও ছুটতে থাকে। অনেকে মোবাইলে ছবি তুলতে থাকেন। কেউ কেউ আবার হাতির কাছাকাছিও যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে, পলাশিয়া হয়ে হাতির পাল পিডরাশোল মৌজা দিয়ে ত্রৈলক্যপুর জঙ্গলে ঢুকে যায়।
কিছুদিন আগে দশ-বারোটি হাতি সদর ব্লকেই ছিল। তারা শালবনী হয়ে আড়াবাড়ি জঙ্গলের দিকে চলে গিয়েছে। ফের নতুন করে হাতির পাল এলাকায় ঢুকতেই গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পলাশিয়া গ্রামের চাষি লক্ষ্মণ দাস বলেন, আমরা তিন ভাই চার বিঘা জমিতে আমন ধান লাগিয়েছিলাম। আষাঢ় মাসের শেষের দিকে রোপণ করা হয়েছিল। তিনমাসের মধ্যে ফলে যাওয়ার কথা। এবার জমিতে ধানও খুব ভালো হয়েছিল। ধান পাকতে শুরু করেছিল। দু’-চারদিনের মধ্যেই ধান কাটার কাজ শুরু করতাম। তার আগেই এদিন সকালের দিকে হাতির দল এসে আমাদের চার বিঘা জমির সব ধান একেবারে শেষ করে দিয়েছে। চোখের সামনে হাতির দল ধানের জমিতে যখন তাণ্ডব চালাচ্ছিল, তখন কষ্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছিল। হাতির দল চলে যাওয়ার পর জমিতে গিয়েছিলাম। কিচ্ছু অবশিষ্ট নেই আর। আমার মতো এই এলাকার প্রচুর চাষির বিঘার পর বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়ে গিয়েছে।