বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বুধবার রাত ৮টা নাগাদ বার্নপুরের বাজারে লোক গমগম করছিল। হঠাৎই পরপর আওয়াজ। এটিএমের পাশে থাকা বাড়ির কর্তা সুব্রত সিনহা ভেবেছিলেন পটকা ফাটছে। কিন্তু অকাল দীপাবলির কারণ দেখতে বাড়ির উঠানে বের হন। তখনই দেখতে পান একটি বাইকের পিছনে বসা দুই দুষ্কৃতী শূন্যে গুলি চালাতে চালাতে এলাকা ছাড়ছে। আতঙ্কে সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়েন তিনি। তবে তিনি একা নন, এভাবে ডাকাতির ঘটনায় হতবাক বার্নপুরের ওই এলাকার মানুষজন। এদিনও এলাকায় আতঙ্কের ছাপ ছিল স্পষ্ট। ঘটনার পর পুলিস ঝাড়খণ্ডে এনিয়ে খোঁজ করতে গিয়েই জানতে পারে, সেখানকার নিরষাতেও একই কায়দায় ডাকাতি হয়েছে। সেখানেও একটি বাইকে তিনজন এসে লুট করে। তবে কেউ গুলিবিদ্ধ হয়নি। দুই রাজ্যের পুলিস তথ্য আদান প্রদান করে জেনেছে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বাইকগুলি আলাদা। তাই একই গ্যাং বাইক পাল্টে দুই জায়গায় অপারেশন চালাল কি না অথবা পৃথক গ্যাং এই ঘটনায় যুক্ত তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বার্নপুরের ঘটনায় প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা লুট হয়েছে। টাকা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে তারা বার্নপুর বাসস্ট্যান্ডের দিকে আসে। কিন্তু তারপর সিসিক্যামেরার নজরদারি থেকে হারিয়ে যায়। তাই সেই এলাকা থেকে সম্ভাব্য সব রাস্তার সিসিক্যামেরার রেকর্ড দেখা হচ্ছে। পুলিসকে এলাকাবাসী জানিয়েছে, টাকা ভরার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজও গা-ছাড়া ভাবে করা হতো। টাকা ভরার সময় নিরাপত্তারক্ষী শৌচকর্মে ব্যস্ত ছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে গাড়ির চালক প্রদীপ রুইদাসের দাবি, দুষ্কৃতীরা এসে প্রথমে তাঁর মাথায় বন্দুক ঠেকায়। তাঁর কাছ থেকে গাড়ির চাবি নিয়ে নেয়। এরপরেই টাকা ভরার কাজে ব্যস্ত মকসুদ আলম মল্লিককে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। পরে ব্যাগ নিয়ে চম্পট দেয়।
এসিপি শান্তব্রত চন্দ্র বলেন, ঝাড়খণ্ডেও একই কায়দায় টাকা লুট হয়েছে। সব বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।