গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার পাড়ুইয়ের মঙ্গলডিহি অঞ্চলের গোলাপবাগে একটি দেওয়ালে পোস্টার দেখা যায়। লাল কালিতে লেখা ওই পোস্টারে এলাকার একাধিক তৃণমূল নেতার নাম রয়েছে। তাছাড়া ইলামবাজারের তৃণমূল ব্লক সভাপতির নামও ওই পোস্টারে লেখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, পোস্টারে তৃণমূল নেতাদের নামের দু’পাশে কাটা চিহ্ন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জীবন দাও, জনগণের টাকা ফেরত দাও বলেও সেখানে লেখা হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের দাবি, ওই পোস্টারে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফেরত দেওয়ার কথাও লেখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, একসময় জঙ্গলমহলে প্রায়শই মাওবাদী পোস্টার পাওয়া যেত। একাধিক খুনের ঘটনাও ঘটেছে। সাম্প্রতিককালে ঝাড়গ্রামেও মাওবাদীদের অস্তিত্বের কথা শোনা যায়। গত সোমবার বাঁকুড়ার সারেঙ্গাতেও পোস্টার সাঁটানোর ঘটনা সামনে আসে। তারপর এদিন পাড়ুইয়ে তৃণমূল নেতাদের নাম দিয়ে মাওবাদী পোস্টার ঘিরে স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন পাড়ুইয়ের মঙ্গলডিহি, বাতিকার অঞ্চলের কয়েকটি জায়গায় সাতসকালে সেই পোস্টার দেখে তা পড়তে অনেকেই ভিড় জমান। পরে পুলিস গ্রামে আসে। তারপর তা ছিঁড়েও দেওয়া হয়। কে বা কারা এই পোস্টার সাঁটালো তা নিয়ে চর্চা হচ্ছে।
ইলামবাজার ব্লকের তৃণমূল সভাপতি ফুজলুল রহমান ওরফে তরুর নাম সেখানে লেখা হয়েছে। পোস্টার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পোস্টারে নাম থাকলেও একটুও আতঙ্কিত হইনি। এলাকায় বিজেপির কোনও অস্তিত্ব নেই। বিজেপির চক্রান্তেই এই পোস্টার দেওয়া হয়েছে। মাওবাদীদের নামে তারা এলাকা সন্ত্রস্ত করতে চাইছে। যদিও এখানে মাওবাদী বলে কিছুই নেই। একই দাবি করেছেন, পোস্টারে নাম থাকা আর এক তৃণমূল নেতা দুলাল রায়ও।
তৃণমূল নেতৃত্বের আরও দাবি, কয়েকদিন পরেই ইলামবাজারে অনুব্রতবাবুর বুথ কর্মী সম্মেলন রয়েছে। তার আগে ব্লক নেতৃত্ব বুধবার থেকেই প্রস্তুতি হিসেবে বুথকর্মীদের নিয়ে বৈঠকে বসছে। তাই এলাকায় তৃণমূল নেতাদের ঘাবড়ে দিতে এই পোস্টারের রাজনীতি করা হয়েছে। ব্লক নেতৃত্ব জানিয়েছে, এই ঘটনায় কে বা কারা জড়িত। তা তদন্ত করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য পুলিসের কাছে আবেদন করা হয়েছে। বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও পোস্টার সাঁটানোর ঘটনায় বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তিনি বলেন, পাড়ুইয়ে আবার মাওবাদী কোথায়? এসব বিজেপিরই কাজ।
বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, জঙ্গলমহলে মাওবাদীরা আবার মাথাচাড়া দিচ্ছে। তৃণমূল নেতারা অবিলম্বে স্থানীয় বাসিন্দাদের টাকা ফেরত দিক। বিজেপি এধরনের কাজ করে না। তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের ফলে মাওবাদীদের নামে পোস্টার পড়তে পারে। আমরাও চাই, পুলিস ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নিক।