পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস জানতে পেরেছে, তিন-চার বছর আগে অভিযুক্ত বাপ্পা এবং রাজেশ মেদিনীপুর শহরে বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি ফুলের দোকানে কাজ করত। দু’জনেই ভালো বন্ধু ছিল। সেই সময় কোনও একটি বিষয় নিয়ে রাজেশের সঙ্গে বাপ্পার বচসা হয়। রেগে গিয়ে বাপ্পা পকেট থেকে ধারালো অস্ত্র বের করে তাঁর উপর হামলা চালিয়েছিল। যদি সেই যাত্রায় রাজেশ ছুটে পালিয়ে যাওয়ায় বেঁচে গিয়েছিলেন। এই ঘটনার পর দু’জনের সম্পর্কে সাময়িক ছেদ পড়েছিল। পরে, ফের দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। রাজেশের মা তুলিকা দাস বলেন, ছেলেকে বাপ্পার সঙ্গে মিশতে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু, ও শোনেনি।
তদন্তে নেমে পুলিস আরও জানতে পেরেছে, সন্ধ্যার দিকে মাঝেমধ্যেই রাজেশ বাড়ি থেকে বাপ্পার সঙ্গে বেরিয়ে যেতেন। ঘটনার দিন বেলা ১০টার দিকে রাজেশ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তারপর জামাইবাবুর স্কুটি করে গিয়ে কেরানিতলায় একটি পুজো মণ্ডপে দুপুরে প্রসাদও খান। রাতে কেরানিচটিতে ফুলের দোকানের ভিতরে মদের আসর বসে। সেখানে রাজেশ ছাড়াও তাঁর কর্মচারী তন্ময় এবং বাপ্পা যোগ দেয়। অনেক রাত পর্যন্ত মদ খাওয়া চলে। প্রচুর মদ খাওয়ায় নেশা হয়ে গিয়েছিল। ফের রাত ২টো নাগাদ কয়েক বোতল দেশি মদ জোগাড় করে আনা হয়। তাতে দ্বিতীয় দফায় আসর বসে।
বাপ্পা পুলিসকে জানিয়েছে, দ্বিতীয় দফায় আসর বসার পরই রাজেশ তার বোনকে নিয়ে নানা মন্তব্য করতে থাকে। তাতেই তার মাথায় খুন চেপে যায়। এরপরই পকেট থেকে ছুরি বের করে রাজেশের উপর সে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তখন বাপ্পার মুখে তন্ময় ঘুষি মারেন। তাই তন্ময়কে ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপায়। দু’জনেই মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে। এরপরই বাপ্পা দরজা বন্ধ করে বাইরে বেরিয়ে যায়। বাইরে রাখা নিজের সাইকেল নিয়ে সে বাড়ি যায়। সেখানে নিজের রক্তাক্ত জামা-কাপড় বদলে নতুন প্যান্ট-জামা পরে। ঘরের পাশে সাইকেলটিকে সে কাপড় দিয়ে জড়িয়ে রাখে। তারপর শনিবার সকালে হেঁটে মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে।