সংবাদদাতা, বর্ধমান: মঙ্গলকোট থানার কৈচরে এক স্কুলছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিকেলে ঘরের বাঁশের কাঠামোয় গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাকে ঝুলতে দেখেন পরিবারের লোকজন। তড়িঘড়ি গামছা কেটে নামিয়ে তাকে কাটোয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। রবিবার ভোরে সে মারা যায়। মৃতের নাম সাহিল মোল্লা(১১)। সে মঙ্গলকোটের মাথরুন হাইস্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ত। তার আত্মহত্যার কারণ নিয়ে ধন্দে পরিবারের লোকজন। এব্যাপারে অন্ধকারে পুলিসও।
কেতুগ্রাম থানার নালিয়াপুরে কীটনাশক খেয়ে এক বৃদ্ধা আত্মঘাতী হয়েছেন। মৃতার নাম সুনীতা দাস(৬০)। শনিবার সকালে বাড়িতে তিনি কীটনাশক খান। তাঁকে কাটোয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। বিকেলে তিনি মারা যান।
গলসি থানার মোহনারা গ্রামে গাড়ির ধাক্কায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম সুমিত বাগদি (৩৫)। গলসি থানার বনসুজাপুরে তাঁর বাড়ি। তিনি গাড়ি চালাতেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় তিনি বাইক নিয়ে অভিরামপুর-গুসকরা রোড ধরে এক আত্মীয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। মোহনারার কাছে একটি গাড়ি তাঁর বাইকে ধাক্কা মেরে পালায়। পুলিস গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
সাপের কামড়ে মৃত ২: পৃথক ঘটনায় সাপের কামড়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। আউশগ্রাম থানার উক্তা গ্রামে সাপের কামড়ে এক চাষির মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম অরুণ দাস(২৯)। কয়েকদিন অগে জমিতে কাজ করার সময় তাঁর বাঁ পায়ে সাপে ছোবল মারে। তাঁকে গুসকরা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। শনিবার রাতে তিনি মারা যান। মেমারি থানার পিঙ্গুর গ্রামে সাপের কামড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম দীপক মুদি(২৩) তিনি পেশায় খেতমজুর ছিলেন। বুধবার দুপুরে জমিতে কাজ করার সময় তাঁর ডান পায়ে সাপে কামড়ায়। তাঁকে মেমারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে রবিবার ভোরে তিনি মারা যান।