কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিস সুপার দীনেশ কুমার বলেন, আমরা একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছি। তদন্ত চলছে। বিস্ফোরণ ঘটলে দেহের যে রকম অবস্থা হওয়ার কথা, সেরকমভাবেই পড়েছিল। মৃতের শরীরের নীচের অংশ ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছে।
রবিবার ভোরে দলীয় কর্মীর মৃত্যুর খবর পেয়ে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েক, সহ সভাপতি আশিস মণ্ডল সবং হাসপাতালে যান। সেখানেই দেহ ছিল। দীপকবাবুর তলপেট ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে। বিজেপির জেলা সহ সভাপতি বলেন, আমাদের কর্মী দীপকবাবুকে প্রায়ই খুনের হুমকি দেওয়া হতো। বাড়ির কাছেই মোহাড় পঞ্চায়েত এলাকায় উনি ফুটবল খেলা দেখতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে শাসক দলের দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুন করেছে।
দীপকবাবুর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই রবিবার সকালে ময়না থানার খিদিরপুর ও সংলগ্ন এলাকায় বিজেপি রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করেন। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজনই খুন করেছে। দোষীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। তবে, বেলা বাড়তেই পুলিসি হস্তক্ষেপ ছাড়াই বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা সেইসব গুঁড়ি রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। বিজেপির ময়না উত্তর মণ্ডল সভাপতি দেবদাস মাইতি বলেন, দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের নির্দেশে অবরোধ তোলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছর ১৪অক্টোবর বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েতের বরুণা গ্রামে তৃণমূল নেতা বসুদেব মণ্ডল খুন হয়েছিলেন। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে শরীরে ড্রিল মেশিন চালিয়ে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। ওই ঘটনায় গেরুয়া শিবিরের কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়। বাকচায় কিছুটা পিছু হটে বিজেপি। অভিযোগ, গত ১০আগস্ট রাতে সবং, ভগবানপুর থেকে বিশাল বাহিনী নিয়ে বরুণা গ্রামে অতর্কিতে হামলা চালায় বিজেপি। তাতে তৃণমূলের বেশ কয়েকজনের বাড়িঘর ভাঙচুর চালানো হয়। বরুণা গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যা ও তাঁর স্বামী সহ ২৫-৩০ জন তৃণমূল নেতা-কর্মী ঘরছাড়া হন। তাঁদের মধ্যে ময়না পার্টি অফিসে ১৫ জন আশ্রয় নিয়েছেন।
বাকচার এই উত্তপ্ত পরস্থিতির মধ্যেই শনিবার রাতে বোমা ফেটে মৃত্যু হয় বিজেপি কর্মী দীপকের। তাই সেই খুনের দায় গিয়ে পড়েছে তৃণমূলের উপর। তবে, বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র মধুরিমা মণ্ডল বলেন, নিহত বিজেপি কর্মীর কোমরেই বোমা ছিল। তিনি কোনওভাবে পড়ে যাওয়ায় বোমা ফেটে যায়। আর তার জেরেই তিনি মারা গিয়েছেন। বিজেপি পরিকল্পিতভাবে তৃণমূলের উপর দোষ চাপাচ্ছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।