বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
সম্প্রতি, আসানসোলে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের গাড়ুইয়ে তেলের ট্যাঙ্কার সহ পুলিসের হাতে ধরা পড়ে পাঁচ দুষ্কৃতী। ট্যাঙ্কারে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় ৫৭ কেজি গাঁজা। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিস। বাজারে পেট্রপণ্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তাই বাজার দরের থেকে সস্তায় পেট্রপণ্য বিক্রিতে সক্রিয়তা বেড়েছে মাফিয়াদের। এক ট্যাঙ্কার তেলের বাজার দর ১৫ লক্ষ হলেও মাফিয়ারা ১০ লক্ষ টাকাতেই তা বিক্রি করে দেয়। এতদিন বিহার ও ঝাড়খণ্ডে এই ঘটনা বেশি ঘটলেও এবার লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ। পুরো চক্রের তিনটি ভাগ রয়েছে। হলদিয়া, খিদিরপুর এলাকা থেকে একটি দল তেলের ট্যাঙ্কার জোগাড় করে। তেলের পাইপ লাইনে ছিদ্র করার জন্য রয়েছে বিশেষ টেকনিশিয়ান। পুলিসের দাবি, পূর্ব ভারতের তিন রাজ্যের মধ্যে মাত্র তিন থেকে চারজন এই কাজ জানে। তারাই এই টিমের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। চক্রের মাথারা চোরাই তেলের জোগান দেওয়ার বরাত ও অপারেশনের রূপরেখা তৈরি করে।
জানা গিয়েছে, স্থানীয় চোরদের দিয়ে মাটি খোঁড়ার কাজ করানো হয়। তাদের মজুরিও পাঁচ থেকে ছ’হাজার টাকা। তেল চুরি হলেই আইওসিএল প্রযুক্তির সাহায্যে তা জানতে পারে। কিন্তু, তা স্থানীয় পুলিসকে জানানোর আগেই অবশ্য ভোকাট্টা চোরেরা। এক বছরের মধ্যে আসানসোল উত্তর, জামুড়িয়া, সালানপুর থানা এলাকায় এরকম বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে।
তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, যেভাবে তেলের পাইপ লাইনে ড্রিল করে ছিদ্র করা হচ্ছে, তাতে সামান্য ভুলত্রুটি হলেই আগুন লেগে যাবে। পাইপ লাইনে একবার আগুন লাগলে বিস্তীর্ণ এলাকা নিমেষে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে একই পদ্ধতিতে তেল চুরির সময় ভালভ হালকা হয়ে যাওয়ায় মাঠের পর মাঠ তেলে ভেসে গিয়েছিল। তখনই আভাস মিলেছিল, অল্প সময়ের মধ্যে কত পরিমাণ তেল এই পাইপ লাইন দিয়ে সরবরাহ হচ্ছে।
তবে, এখানে নতুন করে গাঁজার হদিশ মেলায় উদ্বেগে পুলিস। কিছুদিন ধরেই গাঁজা পাচার রুখতে অভিযানে নেমেছে পুলিস। ওড়িশা থেকে আসানসোল শিল্পাঞ্চল হয়ে বিহার ও উত্তরপ্রদেশে সরবরাহ হয় গাঁজা। কিন্তু সাধারণ গাড়িতে পুলিসের নজরদারি বাড়ায় ট্যাঙ্কারে পাচার শুরু হয়েছে।