পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, শুক্রবার ঝাড়গ্রাম করোনা হাসপাতালে আক্রান্ত বৃদ্ধ সহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্বর সহ নানা অসুস্থতার কারণে গত বুধবার সকালে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হন শহরের উত্তর বামদা এলাকার বাসিন্দা সত্যনারায়ণ দাস। করোনা পজিটিভ রিপোর্ট মেলায় ওইদিন রাতেই করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওইদিন রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ সেখানেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়। রাতেই হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখান রোগীর পরিজনরা। এদিন সকালে ফের হাসপাতাল সুপারের অফিসের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান পরিজনরা। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান মৃতের আত্মীয় নিশিকান্ত দাস। সিপিএমের প্রাক্তন সংসদ সদস্য পুলিনবিহারী বাস্কে ঘটনাস্থলে আসেন। তারপরই ক্ষুব্ধ রোগীর পরিজনরা হাসপাতালের সামনে দফায় দফায় রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন। ঘটনাস্থলে এসডিপিওর নেতৃত্বে পুলিস আসে। মৃত যুবকের পরিজনদের দাবি, দেহ দিতে হবে। দেহ দেখাতে হবে। মৃতের পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীদের কেন করোনা পরীক্ষা করা হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। মৃতের মা দুর্গা দাস বলেন, আমার ছেলের টাইফয়েড ছিল। কিন্তু করোনা হাসপাতালে ভর্তি করেছে। চিকিৎসায় গাফিলতির জেরেই ছেলের মৃত্যু হয়েছে।
এদিন অবরোধ চলাকালীন হাসপাতাল থেকে স্কুটিতে চেপে বেরচ্ছিলেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অর্ণাশিস হোতা। তাঁর স্কুটি আটকে মৃতের মা চিকিৎসককে সপাটে চড় মারেন বলে অভিযোগ। পরে এসিডিপিওর কাছে চড় মারার কথা স্বীকার করে ওই মহিলা বলেন, আমিই মেরেছি। চিকিৎসককে চড় মারার ঘটনায় ক্ষোভ ছড়ায় হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে। সুপার, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে ধর্নায় বসেন। তাঁরা স্লোগান দেন, হাসপাতালে জেলাশাসক ও সিএমওএইচের অনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। সমস্ত রোগীর করোনা রিপোর্ট হাসপাতাল সুপারকে জানাতে হবে। নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রহৃত চিকিৎসক বলেন, এক মহিলা চড় মেরেছেন। সুপারের মারফত থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।
হাসপাতালের সুপার ইন্দ্রনীল সরকার বলেন, চিকিৎসকের গায়ে হাত দেওয়া খুবই নিন্দনীয়। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করছে না। হাসপাতালের আরটিপিসিআরে কোভিড টেস্টের সব রিপোর্ট পাচ্ছি না। পজিটিভ নাকি নেগেটিভ জানাতে সমস্যা হচ্ছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা বলেন, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। চিকিৎসককে মারার ঘটনাটি দুভার্গ্যজনক। পুলিসকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি। চিকিৎসকদের সমস্ত দাবি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুরো রিপোর্ট স্বাস্থ্য ভবনে পাঠিয়ে দেব। পুলিস জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলাশাসক আয়েষা রানি এ বলেন, করোনা রোগীর সৎকার করার সময় বাড়ির লোকজন পিপিই কিট পরে দূরে থাকবেন। সেটাই পরিবারের লোকের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।