গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
শুধু মইনুলের গ্রামই নয়। মুর্শিদ হাসান, ইয়াকুব বিশ্বাস, মোশারফ হোসেন, নাজমুস সাকিব, আবু সুফিয়ান, আল মামুন কামাল, আতিউর রহমানের পাড়া-প্রতিবেশীদের দাবি একই। তারা সকলেই বলছেন, এরা নাশকতামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকা তো দূরের কথা, কোনওদিন বাড়ির বাইরে একটা পাখি মারতে দেখা যায়নি। যদিও গোয়েন্দারা বলছেন, এটা ছিল তাদের মুখোশ। বেশ কিছুদিন ধরেই প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর তারা নাশকতামূলক কাজ করত। অত্যন্ত দক্ষ হয়ে উঠেছিল। সময়মতো গ্রেপ্তার না হলে দেশজুড়েই বিস্ফোরণ হতো। ধৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন তেমন পড়াশোনা না জানলেও অনলাইনে তারা পারদর্শী হয়ে উঠেছিল। কেউ যাতে তাদের সন্দেহ না করে সেই কারণেই এলাকায় তারা নিজেদের গুটিয়ে রেখেছিল। তাই গ্রেপ্তার হওয়ার পর সকলে অবাক হয়ে গিয়েছেন।
ধৃতদের মধ্যে ছ’জনই কেরলে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। লকডাউনে ফিরে আসার পর কয়েকদিনের মধ্যে আবার তাদের সেখানেই ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। ধৃতদের মধ্যে একজনের শনিবারই কেরলের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল। সেইমতো তার টিকিট কাটাও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তার আগেই তাকে গ্রেপ্তার করল এনআইএ। জলঙ্গির মধুপুরের একই পরিবারের দু’জন গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন আতিউর পাড়ার শিক্ষিত যুবক হিসেবে পরিচিত ছিল। সরকারি অফিসে কেউ কোনও কাজে আটকে গেলে তাকে সহযোগিতা করত। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই বাড়ির একটা ছোট্ট ঘরে সে থাকত। তার বাবা তাজিমউদ্দিন মণ্ডল বলেন, ভোরের দিকে হঠাৎ করেই বাড়ির দরজায় কয়েকজন কড়া নাড়ে। ভেবেছিলাম গ্রামের লোকজন কেউ। ঘুম চোখে দরজা খুলতেই হুড়মুড়িয়ে বেশ কয়েকজন ঘরে ঢুকে পড়ল। তারা বাড়িতে এসেই ছেলের খোঁজ করতে থাকে। ছেলে সেসময় বাড়িতেই ঘুমিয়ে ছিল। দরজায় ধাক্কা দিয়ে তাকে তারা বের করে আনে। ছেলের ঘর থেকে তারা একটি বই ছাড়াও মোবাইল ফোন এবং বেশকিছু কাগজপত্র নিয়ে গিয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে অভিযান চলে। অভিযান চালানোর সময় অধিকাংশ জঙ্গি আত্মগোপনের চেষ্টা করে। কেউ ঘরের দরজা সহজে খুলতে চায়নি। আবার কেউ বাথরুমের মধ্যে ঢুকেছিল। পিছনের দরজা দিয়ে পালানোর চেষ্টাও করে। কিন্তু চারদিক দিয়ে এনআইএর আধিকারিকরা ঘিরে ফেলায় তারা পালাতে পারেনি। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, শুক্রবার রাত ১১টা থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চলে। ছ’জন জঙ্গি গ্রেপ্তার হলেও তাদের প্রতিবেশীরাও প্রথমে কোনও কিছুই টের পাননি। অনেকে আবার টিভি দেখে বিষয়টি জানতে পারেন।