কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বৃহস্পতিবার ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণেই ওই হার্ডওয়ারের দোকানে আসানুর বোমা রেখে এসেছিল বলে পুলিসের দাবি। বেনামে সিম কার্ড কিনে সেই নম্বর থেকে দোকানের মালিককে মোট চারবার ফোন করে। হুমকি দেয় দোকান উড়িয়ে দেবে। শেষমেশ অবশ্য রাতেই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। ধৃতের কাছ থেকে মোবাইল, সিমকার্ড এবং ডিভাইস বয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাগ বাজেয়াপ্ত হয়েছে। শুক্রবার নিজের অফিসে এনিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন পুলিস সুপার সুনীলকুমার যাদব। পাশাপাশি এদিন এডিজি ওয়েস্টার্ন জোন সঞ্জয়কুমার সিংও পুলিস সুপারের অফিসে এসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন। এদিন ধৃতকে তমলুক সিজেএম কোর্টে তোলা হলে বিচারক ১০দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন।
জানা গিয়েছে, আসানুর হায়দরাবাদেই ছিল। লকডাউনে বাড়ি ফিরে আসে। সেরহাটি বাজারে কার্তিক গাঁতাইতের হার্ডওয়ারের দোকান। সেখান থেকেই সে কিছু নির্মাণসামগ্রী কেনে। হার্ডওয়ার ব্যবসায়ীর প্রায় ৩০হাজার টাকা পাওনা হয়। কিন্তু বকেয়া না মিটিয়ে ফের জিনিসপত্র কিনতে চায় আসানুর। কার্তিকবাবু এবং তাঁর ছেলে রজত তাতে রাজি হননি। এনিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ। ক্ষুব্ধ আসানুর ব্যবসায়ী পিতা-পুত্রকে ভয় দেখাতে ঠান্ডা মাথায় আইইডি বানানোর পরিকল্পনা করে। এজন্য ইন্টারনেটের সাহায্য নেয় সে। প্রয়োজনীয় সামগ্রী জোগাড় করে বানিয়েও ফেলে।
পুলিস সুপার বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে হার্ডওয়ারের দোকানে আসে আসানুর। গোডাউনের মধ্যে ডিভাইস রাখে। এরপর চারবার রজতবাবুর মোবাইলে ফোন করে। পরে খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানুররা চার ভাই। সে সেভেন পাশ করে এইটে ভর্তি হলেও সেই গণ্ডি পেরতে পারেনি। এরপরই সে কাজের সন্ধানে হায়দরাবাদে পাড়ি দেয়। আড়াই বছর আগে বিয়েও করে। কিন্তু সেভেন পাশ একটা ছেলে কীভাবে বানিয়ে ফেলল আইইডির মতো বিস্ফোরক, তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। উদ্ধার হওয়া ডিভাইস যে খেলনা নয়, তা দ্বিধাহীন ভাষায় জানিয়েছে পুলিস। এই অবস্থায় ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে চাইছে পুলিস।
আপাতত হার্ডওয়ার দোকানটি সিল করা হয়েছে। ফরেন্সিক ল্যাবের রিপোর্ট এলে কী ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল, সেটা জানা যাবে বলে এসপি জানান। তবে, ওইসব সামগ্রী কোথা থেকে পেয়েছিল আসানুর, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিস। যেদোকান থেকে বেনামে সে সিম কার্ড কিনেছিল, সেই দোকানেও হানা দেবে পুলিস।