গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার মহালয়ার দিন বিকেল থেকে ঝিরঝিরে বৃষ্টিপাত শুরু হয় জেলাজুড়ে। রাত ১২টা নাগাদ দুর্গাপুরে তুমুল বৃষ্টি নামে। ভোর পর্যন্ত এক নাগাড়ে বৃষ্টি হওয়ায় শহরের ১৩, ৩৩, ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের অধিকাংশ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। অন্যান্য বহু ওয়ার্ডও আংশিকভাবে জলে ডুবে যায়। সিটি সেন্টার এলাকায় বেশকিছু গাছ ভেঙে পড়ে। ভোর থেকেই একাধিক বোট নিয়ে উদ্ধার কাজে নামে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। বহু মানুষকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্কুলে নিয়ে যাওয়া হয়। বাকিদের খাবার সরবরাহ করা হয়। মেনগেট, ওয়ারিয়া এলাকায় তিনটি স্কুলে অস্থায়ী ত্রাণ শিবির খোলা হয়। এই অংশই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মেনগেটের স্টিল পার্ক এলাকায় নাজবুল খাতুন নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। কিন্তু বৃদ্ধার দেহ সৎকারের জন্য নিয়ে যেতে পারেননি পরিবারের লোকজন। এলাকায় গিয়ে উদ্ধার কাজের তদারকি করেন মহকুমা শাসক অনির্বাণ কোলে। তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তবে, শুধু এই এলাকাই নয়, কোকওভেন থানার ডেয়ারি মোড়ের কাছে একটি বস্তি জলের তলায় চলে যায়। ওই এলাকার মানুষ প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করেন। দুর্গাপুর স্টেশন সংলগ্ন শিমূলতলাও জলমগ্ন হয়ে যায়। প্রায় ৭৫টি পরিবারকে উদ্ধার করে একটি স্কুলে আনা হয়। পুরসভার পক্ষ থেকে মেয়র, মেয়র পরিষদ সদস্য, বরো চেয়ারম্যানরা মাঠে নামেন। খাবারের পাশাপাশি ত্রিপল দেওয়া হয়। জল কিছুটা কমার পর সিপিএম ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও খাবার, ব্লিচিং, চুন বিতরণ করে। তবে, শুক্রবার বিকেলে অনেক এলাকা থেকেই জল নেমে গিয়েছে।
কিন্তু, কেন এমন বিপত্তি, তা নিয়ে নানা মত উঠে আসছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, কয়েকদিন আগে নালা সংস্কার হয়। কিন্তু নালার গায়ে গজিয়ে ওঠা নির্মাণ নিয়ে কোনওপক্ষই পদক্ষেপ নেয়নি। সস্তায় ওই এলাকার খাস জমি বিক্রি করে দিচ্ছে জমি মাফিয়ারা। জলে আটকে পড়া মহম্মদ মাসিম বলেন, ৪০ হাজার টাকা দিয়ে এই অংশ কিনে বসবাস করছিলাম।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, তামলা নালার উপর ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে আশিস নগরে একটি লকগেট আছে। সেটি বন্ধ থাকার জন্য পর্যাপ্ত জল বের হতে পারেনি। এই অবস্থায় গেট খুলতে গেলে কিছু এলাকার বাসিন্দা প্লাবনের আশঙ্কায় বাধা দেন। পরে তাঁদের বুঝিয়ে গেট খোলা হয়।