পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
করোনার কারণে এবার বড় মণ্ডপ গড়ে পুজোর অনুমোদন দেওয়া হয়নি। কারখানা এলাকায় জমায়েত নিয়েও কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ফলে করোনার জন্য হলদিয়ার বিশ্বকর্মা পুজো এবার ম্লান। তবে বড় কারখানাগুলি ছাড়া ছোট কারখানার অফিস বা শ্রমিকদের অফিসে প্রতিমা এনে পুজো হয়েছে। মহালয়া ও বিশ্বকর্মা পুজো একদিনে পড়ায় এদিন টাউনশিপ নদীঘাটে অভিনব দৃশ্য চোখে পড়েছে। একদিকে তর্পণের সময় মানুষজন যখন বিষাদের সঙ্গে পূর্বপুরুষকে স্মরণ করছেন, তখন অন্যদিকে চলছে ঢাক বাজিয়ে পটকা ফাটিয়ে বিশ্বকর্মা পুজোর ঘটোত্তলন। তর্পণের সময় এদিন পুরোহিতের সঙ্কটও চোখে পড়েছে। বেশিরভাগ পুরোহিত বিশ্বকর্মা পুজোয় চলে যাওয়ায় তাঁদের ঘাটে পাওয়া যায়নি। গুটিকয় ব্রাহ্মণকে নিয়ে টানাটানি পড়ে। কয়েকজন ব্রাহ্মণ তর্পণ সারতে এসে বাধ্য হয়ে অন্যদের জন্য পুজো সারেন।
করোনার জন্য এবার বিশ্বকর্মা পুজোয় মাইক ও ডিজে বক্সের দাপট অনেক কম থাকায় স্বস্তি পেয়েছেন মানুষ। এদিন সকাল থেকেই রাস্তাঘাটে দেখা গিয়েছে উল্টো চিত্র। অন্যান্যবার যেখানে ভিড়ে সকাল-সন্ধ্যা পুজো মণ্ডপগুলিতে পা রাখা যেত না, এবার তা একেবারেই ফাঁকা। রাস্তায় বাস, অটো বা টোটোর দেখা মেলেনি। তবে এদিন শহরের বিভিন্ন মন্দিরের সামনে নতুন ও পুরনো বাইক এবং চারচাকা গাড়ির ভিড় দেখা গিয়েছে। মূলত গাড়ি পুজোর জন্য এই ভিড় দেখা যায়। পুজো মণ্ডপগুলিতে শ্রমিক কর্মচারীদের মিষ্টির প্যাকেট দেওয়া হয়। হলদিয়ার ডিঘাসীপুরে একটি লজিস্টিক্স সংস্থা ট্রাক ড্রাইভারদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করে এদিন। তাঁদের হাতে তোয়ালে, সাবান ও স্যানিটাইজার দেওয়া হয়।