বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
তর্পণের জন্য এদিন ভোর থেকেই বাঁকুড়া শহর লাগোয়া গন্ধেশ্বরী ও দ্বারকেশ্বর নদে শামিল হন বাসিন্দারা। একই চিত্র জেলার কংসাবতী, শিলাবতী ও দামোদর নদের ঘাটগুলিতেও দেখা যায়। বিষ্ণুপুর শহরের লালবাঁধ, পোকাবাঁধ, যমুনাবাঁধ, পাটসায়র ও কালিন্দিবাঁধেও তর্পণের ভিড় দেখা যায়। রাজগ্রাম সংলগ্ন দ্বারকেশ্বর নদে সাত সকালেই তর্পণ সারেন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা। গন্ধেশ্বরী নদীর সতীঘাটে তর্পণ করেন বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়।
পুরুলিয়া শহরের সাহেব বাঁধে ভোর থেকেই ভিড় জমান সাধারণ মানুষ। সাহেববাঁধ ছাড়াও পুরুলিয়া শহর সংলগ্ন কাঁসাই নদীর বিভিন্ন ঘাট, কুমারী ও সুবর্ণরেখা নদীর ঘাটগুলিতেও বাসিন্দারা তর্পণ করেন। একইভাবে আরামবাগ মহকুমার বিভিন্ন নদী ও জলাশয়ে এলাকার মানুষ তর্পণের জন্য ভিড় জমান। আরামবাগ শহরের সদরঘাট, শ্মশানঘাট, দিঘি ছাড়াও কামারপুকুরের হালদার পুকুর, সাতবেড়িয়ায় দামোদর নদে বাসিন্দারা তর্পণ করতে হাজির হন। পুরশুড়া ও খানাকুলের বহু মানুষও নদনদীতে তর্পণ করেন।
বিশ্বকর্মাপুজো উপলক্ষে এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন অফিস কাছারি ও কলকারখানায় প্রস্তুতি শুরু হয়। তবে করোনা আতঙ্কে বাঁকুড়ার বড়জোড়া, মেজিয়া বা পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর শিল্পাঞ্চলে এবার বিশ্বকর্মাপুজো নিয়ে সেভাবে উন্মাদনা দেখা যায়নি। বড়জোড়া সমস্ত জায়গাতেই এবার কোনও রকমে নিয়মরক্ষার পুজো হয়েছে। অফিস কাছারিগুলিতেও একই ছবি দেখা যায়। পুরুলিয়া শহরে সবথেকে বড় পুজো হয় বাসস্ট্যান্ড ও ট্যাক্সিস্ট্যান্ডে। কিন্তু, এই দুই জায়গায় এবার বিশ্বকর্মা পুজোই হয়নি। একই ছবি দেখা যায় আরামবাগেও।
বৃহস্পতিবার ছিল মহালয়া। অন্যান্য বছরের মতো এবারও রীতি মেনে কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে চণ্ডীপাঠ হয়েছে। কিন্তু, সেই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারলেন না ভক্তরা। কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী লোকত্বরানন্দজি মহারাজ বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাধারণ মানুষ ও ভক্তদের মঠে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে রীতি মেনে এদিন সকালে মঠের সাধুরা চণ্ডীপাঠে অংশ নিয়েছিলেন। প্রতি বছর এই দিনে মঠের তরফে দুঃস্থদের হাতে পুজোর নতুন পোশাক তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু, এবছর তা বাতিল করা হয়েছে।