কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বৃহস্পতিবার সিউড়ির লালকুঠি পাড়ার দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র মহম্মদ আমন তার চার বন্ধুর সঙ্গে শান্তিনিকেতনে আসে। দুপুরে গোয়ালপাড়া গ্রামে কোপাই নদীতে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যায় সে। খবর দেওয়া হয় শান্তিনিকেতন থানায়। সিউড়ি থেকে ডুবুরি নিয়ে এসে তার খোঁজ শুরু হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাত অবধি নদীতে তার দেহ উদ্ধার হয়নি। অন্যদিকে আমনের চার বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শান্তিনিকেতন থানায় নিয়ে যায় পুলিস। শুক্রবার সকালে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ ও সাত ব্যাটালিয়ান বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সাহায্যে ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছুটা দূরে আমনের দেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিন আমনের মা মহফুজ বানো অভিযোগ করেন, তার ছেলেকে সম্পূর্ণ পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে। তারপর প্রমাণ লোপাটের জন্য নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তিনি আমনের চার বন্ধু ইন্দ্রনীল দত্ত, আক্রামুল ইসলাম, নাইমুল ইসলাম ও সৈয়দ তামিমের বিরুদ্ধে শান্তিনিকেতন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
মৃতের মা মহফুজ বানো বলেন, আমার ছেলে শান্তিনিকেতন আসতে আপত্তি করছিল। তাকে একপ্রকার জোর করেই নিয়ে আসা হয়।আমানকে পরিকল্পনা করেই মেরে প্রমাণ লোপাটের জন্য নদীতে ফেলে দিয়েছে ওই চারজন। আমি তাদের শাস্তি চাই।
বোলপুর মহকুমা পুলিস আধিকারিক অভিষেক রায় বলেন, মৃতের মায়ের করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০২ ধারায় খুনের মামলা শুরু হয়েছে। চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ তাদের আদালতে তোলা হবে।