বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মঙ্গলবার রাতে মল্লারপুর ও রামপুরহাটে রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে। তাতেই মহকুমার চারটি ব্লকের বেশকিছু এলাকা জলমগ্ন হয়ে যায়। এদিন সেইসব গ্রামে রাস্তাঘাট থেকে জল নেমে গেলেও এখনও বহু জমি জলের তলায়। কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রামপুরহাট-১ ব্লকের বরশাল, খরুন, কাষ্টগড়া ও দখলবাটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ২২টি মৌজার ২৬৯৫ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছিল। তার মধ্যে জলে ডুবে যায় ১৮২৪ হেক্টর।
তবে, কাষ্টগড়া ও দখলবাটি এলাকার জমি থেকে রাতের দিকেই জল নেমে যায়। অন্যদিকে রামপুরহাট-২ ব্লকের বুধিগ্রাম ও মাড়গ্রাম-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১টি মৌজার ১১০৬ হেক্টর জমি এখনও ডুবে রয়েছে। একইভাবে ময়ূরেশ্বর-২ ব্লকের কুণ্ডলা, দাসপলশা, ষাটপলশা সহ একাধিক পঞ্চায়েতের ৩৬টি মৌজার ১৭৫০ হেক্টরেরও বেশি জমির ধান ও ৩২৫ হেক্টর সব্জি চাষের জমি জলে ডুবে রয়েছে বলে কৃষিদপ্তরের রিপোর্ট।
জলে ডুবে ধান ও সব্জিগাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা। স্থানীয় চাষিরা জানান, অনেকেরই কৃষিবিমা করা নেই। ফলে, ক্ষতিপূরণ নিয়ে তাঁরা এখন চিন্তায় পড়েছেন।
এব্যাপারে জেলা সহ কৃষি অধিকর্তা(তথ্য) অমরকুমার মণ্ডল বলেন, জেলার মধ্যে রামপুরহাট-১ ও ২, ময়ূরেশ্বর-১ ও ২ ব্লকের কিছু জমি জলে ডুবে রয়েছে। যেহেতু ধানগাছগুলির বয়স অল্প, তাই দু’-তিনদিনের বেশি ডুবে থাকলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাবে। তবে, সেই ক্ষতির পরিমাণ জানতে আরও একদিন সময় লাগবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বুধ ও বৃহস্পতিবার দু’দিন ধরে দপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের রিভিউ মিটিং হল। আতমা, কৃষি পেনশন, শস্যবিমা যোজনা, কৃষকবন্ধু, সয়েল হেলথ কার্ড, কেসিসি সহ বিভিন্ন কাজের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত ৫০ লক্ষ চাষি কৃষকবন্ধু প্রকল্পের অর্ন্তভুক্ত হয়েছেন। জমি সংক্রান্ত অসুবিধার কারণে এখনও বহু চাষি এই প্রকল্পের বাইরে রয়েছেন। সেটা ভূমি দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধানের জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া চাষিরা যাতে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন না হন সেজন্য শস্যবিমা যোজনায় আরও বেশি সংখ্যক চাষিকে আওতাভুক্ত করার জন্য বলেছেন উপদেষ্টা। এদিন দপ্তরের একটি বুকলেট উদ্বোধন করা হয়েছে।