বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
আতঙ্ক বাড়লেও মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই বলেই দাবি করেছেন জেলাশাসক বিভু গোয়েল। তিনি বলেন, টেস্ট বাড়িয়েছি, স্বাভাবিকভাবেই তাতে বেশি মানুষকে চিহ্নিত করা যাচ্ছে। গত দু’-তিনদিন সংক্রমণ কিছুটা কমেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই আছে। পাশাপাশি নবদ্বীপ শ্মশানে মৃতদেহ সৎকার নিয়ে সমস্যা প্রসঙ্গে তিনি বৃহস্পতিবার বলেন, এনিয়ে আলোচনা হয়েছে। যে সমস্ত দপ্তরের লোকজন এই কাজের দায়িত্বে থাকবেন, তাঁদের চিহ্নিত করা হয়েছে। আর এরকম ঘটনা জেলায় ঘটবে না। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, কয়েকটি জায়গায় দেহ সৎকার বা কবর দিতে গেলে মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে। আমরা সবদিক বিবেচনা করেই এই কাজ করছি। এই কাজে বাধা দিয়ে বিপদ নিজেরাই বাড়াচ্ছেন।
এদিন জেলার বেশ কয়েকটি জায়গায় (সম্প্রসারিত কন্টেইনমেন্ট এলাকা) ‘লকডাউন’ ছিল। বিষয়টিকে ‘স্ট্রিক্ট কন্টেইনমেন্ট মেজার্স’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমদিনে দোকানপাট খোলেনি। এলাকা শুনশান ছিল। কৃষ্ণনগর শহর পরিদর্শনে বের হন জেলাশাসক, কৃষ্ণনগরের পুলিস সুপার জাফর আজমল কিদওয়াই। পুলিস-প্রশাসনের কর্তাদের সামনেই বেশ কয়েকজনকে পালাতে দেখা যায়। জরুরি প্রয়োজন ছাড়াই কয়েকজন রাস্তায় বের হয়েছিলেন। মুখে শাড়ির আঁচল চাপা দিয়ে মহিলাদেরও দেখা মেলে। সকলকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শহরের ক্ষেত্রে পুলিস-প্রশাসনের নজর থাকলেও ব্লকের ক্ষেত্রে কোনও কোনও এলাকায় সাধারণ মানুষ নিয়ম ভেঙেছেন বলে অভিযোগ। যেমন, কোতোয়ালি থানার দেপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় নিয়ম ভেঙেই বহু মানুষকে আড্ডা দিতে দেখা গিয়েছে। কেউ কেউ দূরত্ববিধি ভেঙে মাছও ধরেছেন। পুলিসের দাবি, সর্বত্রই কড়া নজর রাখা হয়েছিল।
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, নতুন করে চাকদহ, করিমপুর-১ ব্লক, কৃষ্ণনগর পুরসভায় চারজন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। নাকাশিপাড়ায় দশজন, রানাঘাট-১ ব্লকে ন’জন, রানাঘাট-২ ব্লকে পাঁচজন, কল্যাণী পুরসভায় তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন। চাকদহ ও গয়েশপুর পুরসভায় দু’জন করে এবং বীরনগর পুরসভা, হরিণঘাটা ব্লক, তেহট্ট-১ ব্লকে একজন করে আক্রান্ত হয়েছেন।
রানাঘাট-১ ব্লকের কালীনারায়ণপুর পাহাড়পুর পঞ্চায়েত এলাকার পরিস্থিতি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। বুধবারের পর ওই এলাকায় নতুন করে আরও সাতজনের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। নাকাশিপাড়ার আক্রান্তদের মধ্যে একজন ফুল ব্যবসায়ী এবং একজন গ্রামীণ চিকিৎসক রয়েছেন। তেহট্টের রঘুনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষ্ণচন্দ্রপুরে এক বৃদ্ধ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি সাতদিন ধরে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি ছিলেন। জরুরি বিভাগের সমস্ত রোগীর র্যাপিড টেস্ট শুরু হচ্ছে।