বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এসিপি সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য বলেন, অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে ই-লার্নিং অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে। সাইবার প্রতারকরা ইতিমধ্যেই ভুয়ো অ্যাপ বানিয়ে ফেলেছে। অন্য রাজ্যে এনিয়ে প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিষয়টি উপর নজর রাখছি।
আসানসোলের একটি বেসরকারি স্কুলের ছাত্রী অদ্রিজা ঘোষ। বাবা-মা দু’জনেই চাকরিজীবী। কয়েক মাস ধরে স্কুল বন্ধ। তাই বাড়িতে বসেই পড়াশোনা চলছে। স্কুল থেকে অনলাইন ক্লাস তো রয়েছে। পাশাপাশি অদ্রিজার অভিভাবকরা নিজেদের মোবাইলে মেয়ের জন্য ডাউনলোড করছেন কয়েকটি ই-লার্নিং অ্যাপ। তবে শুধু অদ্রিজার পরিবারই নয়, এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের বহু স্বচ্ছল পরিবারই এই রাস্তায় হাঁটছেন। নিজেদের ছেলেমেয়েদের আধুনিক শিক্ষার জন্য তাঁদের চেষ্টার অন্ত নেই। বাবা-মায়েদের এই বাড়তি উদ্যোগই নজরে পড়েছে সাইবার চাঁইদের।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ভুয়ো ই-ওয়ালেটের মতো তারা বানিয়ে নিয়েছে বহু ভুয়ো ই-লার্নিং অ্যাপও। সেই অ্যাপ ডাউনলোড করলেই দিতে হচ্ছে নানা ব্যক্তিগত তথ্য। সেই তথ্য চুরি করে পাসওয়ার্ডের নামে ওটিপি জেনে অ্যাকাউন্ট সাফ করছে প্রতারকরা। ইতিমধ্যেই ভিন রাজ্যে এই ধরনের অপরাধ হয়েছে। তাই এরাজ্যেও সাইবার থানার আধিকারিকরা ওইসব ভুয়ো অ্যাপের উপর নজরদারি শুরু করেছে। বহু ক্ষেত্রে সন্দেহভাজন অ্যাপগুলির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানানোও হচ্ছে।
আবার করোনা মহামারীর এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একাধিক ভুয়ো অ্যাপও বাজার দাপাচ্ছে। কখনও শরীরে অক্সিজেন পরিমাপ করে দিচ্ছে মোবাইল অ্যাপ। আবার শারীরিক বিভিন্ন তথ্যও পাওয়া যাচ্ছে অ্যাপের মাধ্যমে। অনেক ক্ষেত্রে এই হেলথ অ্যাপের পিছনে তথ্য চুরির জাল বুনছে জামতাড়ার মাস্টার মাইন্ডরা। সাইবার অপরাধীরা প্রতিনিয়ত লুটের কৌশল বদলানোয় ঘুম উবেছে পুলিস কর্তাদের। বিশেষ ধরে ঝাড়খণ্ড ঘেঁষা জেলাগুলির সাইবার সেল বিশেষ নজরদারি শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই বীরভূম জেলার সাইবার থানা থেকে একাধিক এই ধরনের ভুয়ো অ্যাপের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করা হয়েছে। নজর রয়েছে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটেও। পাশাপাশি মানুষকেও সচেতন থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
রাজ্য সাইবার ক্রাইমের সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, প্রতিটি অ্যাপকেই সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে। অক্সিমিটার অ্যাপ অনলাইনে ব্যবহার করা মারাত্মক ক্ষতির হতে পারে।