সংবাদদাতা, খড়্গপুর: খড়্গপুরে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে ফিরলেন হেমা চৌবে। তিনি এআইসিসির সদস্য ছিলেন। বুধবার শহরের মালঞ্চ এলাকায় মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের উপস্থিতিতে তিনি শাসক দলে যোগ দেন। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। হেমা চৌবে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরনো দিনের নেতা-কর্মীদের দলে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। সেই ডাকে সাড়া দিয়েই দলে ফিরে এলাম।’ তাঁর স্বামী গৌতম চৌবে যেখানে খুন হয়েছিলেন, সেই জায়গাকেই তিনি তৃণমূলে যোগদানের মঞ্চ হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। এদিন হেমাদেবীর সঙ্গে শহর কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি দেবাংশু গঙ্গোপাধ্যায়ও তৃণমূলে যোগ দেন। প্রসঙ্গত, হেমাদেবী ২০০১ সালে তৃণমূলের হাত ধরে রাজনীতি শুরু করেন। সেই বছরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর স্বামীকে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি করেছিলেন। কিন্তু, দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হয়ে যাওয়ায় গৌতমবাবু সেই দায়িত্ব নিতে পারেননি। তাঁর স্মরণসভায় যোগ দিতে এসে নেত্রী হেমাদেবীকে দলের খড়্গপুর শহরের সভানেত্রী করেছিলেন। ২০০৪ সালের লোকসভা ভোটে দল তাঁকে পাঁশকুড়া কেন্দ্রে প্রার্থী করেছিল। সেই বছরই তিনি তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রী হন। কিন্তু ২০০৬ সালের বিধানসভা ভোটের প্রার্থীপদ নিয়ে বিরোধের জেরে তিনি বসে যান। ২০০৯ সালে কংগ্রেসে যোগ দেন। ২০১৪ সালে তিনি আবার তৃণমূলে যান। কয়েক দিনের মধ্যে ফের কংগ্রেসে ফিরে আসেন। রাজ্য ও জেলাস্তরে বিভিন্ন পদে তিনি ছিলেন। কংগ্রেস তাঁকে এআইসিসির সদস্যও করে।
জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি দেবাশিস ঘোষ বলেন, উনি চলে যাওয়ায় কংগ্রেসের কোনও ক্ষতি হবে না। এর আগেও তিনি একাধিকবার তৃণমূলে গিয়েছেন, আবার ফিরেও এসেছেন। উনি বারবার দল বদল করতে ভালোবাসেন।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, উনি আমাদের পুরানো দিনের কর্মী। নেত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে দলে ফিরে আসায় আমরা খুশি।