পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
হলদিয়া ও সুতাহাটার বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিনই বিষাক্ত কেউটে বা গোখরো সাপ ধরা পড়ছে। কখনও দ্বারিবেড়িয়া, কখনও মনোহরপুর, আবার কখনও পুরসভা এলাকার নন্দরামপুরে। বিষাক্ত কেউটের ভয়ে সারারাত বাড়ির বাইরে রাত কাটানোর ঘটনাও ঘটছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাপের ভয়ে সাধারণ মানুষ রাতেরবেলা রাস্তায় বেরতে ভয় পাচ্ছেন। দিনকয়েক আগে হোড়খালি এলাকার স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় সাড়ে ৫ ফুটের বড়মাপের একটি কেউটে। পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের নন্দরামপুরে কয়েকদিন আগে ভোরবেলা বিষাক্ত কেউটে উঠে পড়েছিল একটি পরিবারের বিছানায়। ঘুমন্ত শিশুকে কোনওরকমে বাঁচায় পরিবারের লোকজন। বনদপ্তরে খবর দেওয়ার পাশাপাশি মানুষজন খবর দেন বিজ্ঞানকর্মী নকুলবাবুকে।
পেশায় পুলকার চালক নকুলবাবু খালি হাতে বিষাক্ত সাপ ধরতে সিদ্ধহস্ত। সাপ নিয়ে কুসংস্কার দূর করা, নানা জাতের সাপ চেনাতে তিনি দুই সহকর্মীকে নিয়ে ঘুরে বেড়ান দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন মেলা, উৎসবে। সেজন্য একসময় বাড়িতে ও বিজ্ঞানকেন্দ্রের অফিসে বিষধর সাপ সংরক্ষণ করা ছিল নকুলবাবুর নেশা। প্রায় আড়াইশো সাপ ছিল তাঁর সংগ্রহে। পরে তিনি তা সুন্দরবনে ছেড়ে দিয়ে আসেন। উম-পুনের পর গত দু’মাসে বিষধর সাপের হাত থেকে মানুষের প্রাণ বাঁচিয়ে এলাকাবাসীর কাছে নকুলবাবু ‘স্নেক ম্যান’ হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছেন।
বনদপ্তরের বালুঘাটা ফরেস্ট রেঞ্জের আধিকারিক সুখলাল হেমব্রম বলেন, হলদিয়া এলাকায় প্রচুর বড় গাছ নষ্ট হওয়ায় জীব-বৈচিত্র্যের উপর প্রভাব পড়েছে এবং বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হলদিয়ার জলাভূমি সংলগ্ন বড়গাছ, পোড়োবাড়ি এলাকায় কেউটে, গোখরো সহ অনেক ধরনের সাপ ও বন্যপ্রাণী বসবাস করে। এই এলাকায় বাঘরোলেরও প্রচুর দেখা যায়। ঝড়ের ফলে সেগুলি বাস্তহারা হয়েছে। তাদের খাবারের অভাব ঘটছে। সেজন্য খাবারের সন্ধানে সাপগুলি লোকালয়ে চলে আসছে। সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকতে হবে।