গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এলাকাবাসীর দাবি, এখন ভূমিদপ্তরে গিয়ে কোনও লাভ হচ্ছে না। শুধু জমির বকেয়া খাজনা জমা দেওয়া যাচ্ছে। অফিসারদের সঙ্গে দেখা করা তো দূরের কথা, মূল দরজা থেকেই ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কাটোয়া মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক বীরেন্দ্রনাথ দাস বলেন, এখন করোনার জন্য দপ্তরের অনেক কাজে রাশ টানতে হচ্ছে। তবে অফিস খোলাই আছে। কিছু কাজ এখন হচ্ছে না। পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলে সমস্ত কাজই ঠিকঠাক হবে।
যদিও জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ বন্ধ থাকায় অনেকেই সমস্যায় পড়ছেন। মঙ্গলকোট, কেতুগ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, জমির নথি সব ঠিকঠাক না থাকায় ব্যাঙ্ক থেকে কৃষিঋণ পাওয়া যাচ্ছে না। জমির পরচা বের করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। মঙ্গলকোটের বাসিন্দা সোমেশ্বর রায়, বাপি হাজরা বলেন, আমাদের জমির শ্রেণী পরিবর্তন করব। লকডাউনের পর অফিসে বারবার যাচ্ছি। কিন্তু প্রতিবারই ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এদিকে জমির নথি ঠিক না থাকায় বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছে। পরে অফিসের কাজ পুরোদমে চালু হলেও এইসব কাজ করতে দেরি হবে।
কেতুগ্রামের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের এক কর্মী বলেন, করোনার জন্য সব ওলটপালট হয়ে গিয়েছে। ভয়ে অনেক কর্মী অফিসে লোকজনের সঙ্গে দেখা করতে চাইছেন না। তাই জরুরি কাজগুলি শুধুমাত্র করা হচ্ছে। তাছাড়া করোনা আবহের মধ্যে জমির মিউটেশনের ক্ষেত্রেও অসুবিধা হচ্ছে। দপ্তরে প্রচুর আবেদন পড়ে রয়েছে। সংক্রমণ ছড়ানোর ভয়ে অফিসে ভিড় বা জমায়েত এড়াতেই কাটোয়ায় জমির মিউটেশন সংক্রান্ত কেসগুলি নিষ্পত্তি করা যাচ্ছে না। এদিকে এই পরিস্থিতিতে অনেক বাসিন্দাই ক্ষোভে ফুঁসছেন। তাঁদের দাবি, অন্তত সামাজিক দূরত্ব মেনে অফিসের কাজগুলি চালু করা উচিত। তাহলে হয়রানির হাত থেকে রেহাই মিলবে। অনেক বয়স্ক মানুষও হয়রানির শিকার হচ্ছেন।