পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ওই অনাথ আশ্রমে ১৪ জন নাবালক রয়েছে। এছাড়া চারজন দুঃস্থ বৃদ্ধ-বৃদ্ধারও আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে ওই আশ্রম। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগের মুহূর্ত অবধি নিময়বিধি বেঁধে দিয়েছেন স্বপনবাবু নিজে। গোরুর দুধ, মুরগির ডিম, মাছ, সব্জি, মিষ্টি, প্রতিদিন তাদের জন্য রয়েছে পৃথক খাবারের তালিকাও। এমনকী শিশুদের মুখে তুলে দেওয়ার আগে রান্না করা খাবার চেখে দেখেন খোদ মন্ত্রী। তাদের পড়াশোনা, শরীর চর্চা এমনকী স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আলাদা আলাদা শিক্ষক রয়েছেন। স্বপনবাবু নিজেও আবাসিকদের ক্লাস নেন। ধীরে ধীরে সকলের প্রিয় মন্ত্রীদাদু হয়ে উঠেছেন তিনি। বাচ্চাদের মুখগুলো একদিন না দেখলে মন খারাপ হয়ে যায় তাঁর। তেমনই ওই খুদেরাও তাদের মন্ত্রী দাদুকে একদিন দেখতে না পেলে গোমড়া মুখে বসে থাকে। তাই তাদের প্রিয় দাদুর অসুস্থতার খবরে মনমরা অবস্থা আশ্রমের আবাসিকদের। বুধবার সকালে প্রার্থনা হলে এসে ভগবানের কাছে স্বপনবাবুর মঙ্গল কামনায় দীর্ঘক্ষণ প্রার্থনা চলে। দু’দিন আশ্রমে না আসায় সকলের মন ভারাক্রান্ত। তাই ভগবানের কাছে খুদে আবাসিকদের আর্জি, দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরে আসুন মন্ত্রীদাদু। আবার কবে তিনি এসে তাদের পড়া ধরবেন, গল্প শোনাবেন, সেই অপেক্ষায় গোটা আশ্রম। আশ্রমের কর্মী সমীর মুখোপাধ্যায় বলেন, দু’দিন আগে কলকাতায় স্বপনবাবুর করোনা পরীক্ষা হয়। রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এখন তিনি ভালো আছেন। তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ফিরে আসুন, এটাই আমরা চাই।
এছাড়া এদিন মন্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনায় প্রাচীন কালনার সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির, আটঘড়িয়া রক্ষাকালী মন্দির, সিমলন অন্নপূর্ণা মন্দিরে পুজো দেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। এছাড়াও ধাত্রীগ্রামের বিবির জোল এলাকার বাসিন্দা এক তৃণমূল কর্মী স্বপনবাবুর আরোগ্য কামনায় কালী পুজোর মানত করেন। ধাত্রীগ্রামের গ্রাম কালনার এক বাসিন্দা বলেন, এদিন দাদার আরোগ্য কামনায় মসজিদে প্রার্থনাসভার আয়োজন করা হয়। মন্ত্রীর ছেলে সৌরভ দেবনাথ বলেন, চিকিৎসক জানিয়েছেন বাবার অবস্থা স্থিতিশীল।
বুধবার পুজো দেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। -নিজস্ব চিত্র