গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে টানা অঝোরে বৃষ্টি হয় বীরভূমে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে মল্লারপুরে, ২৮০ মিলিমিটার। একদিকে অতিবৃষ্টি, অন্যদিকে ক্যানেলের জল ছাপিয়ে রুকুনপুর, খরাসিনপুর সহ বহু গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে দ্বারকার জল ছাপিয়ে কামরাঘাট এলাকা প্লাবিত হয়। খরাসিনপুর হয়ে মুর্শিদাবাদ যাওয়ার রাস্তাতেও বুক সমান জল। ফলে, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বিডিও গোরাচাঁদ বর্মন বলেন, প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে বেশকিছু গ্রামে জল দাঁড়িয়েছে। রুকুনপুর গ্রামে ২০টির বেশি মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েছে। তাতে এক গৃহবধূ সহ দু’জন জখম হয়েছে। পরিস্থিতির দিকে প্রশাসনের নজর রয়েছে। অন্যদিকে প্রচুর ধানজমি জলের তলায় চলে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
রামপুরহাটেও ১৯০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে ঝাড়খণ্ডেও। ফলে, বৈধরা ব্যারেজে জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় বুধবার সকাল থেকে ১১ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়। তাতেই রামপুরহাট শহরের উপর দিয়ে কাঁদরের জল ছাপিয়ে পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের চাকলা মাঠ এলাকা জলের তলায় চলে যায়। ধুলোডাঙা, সানঘাটা রোডেও হাঁটুসমান জল। ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার সুকান্ত সরকার বলেন, গোটা ওয়ার্ডই জলমগ্ন। তার মধ্যে ২০০-র বেশি বাড়িতে জল ঢুকেছে। একাধিক রাস্তা জলের তলায়। নামমাত্র কাঁদর পরিষ্কার হওয়ার ফলে এই অবস্থা।
পুরসভার প্রশাসক অশ্বিনী তেওয়ারি বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলেই কাঁদরের জল ছাপিয়ে ওই ওয়ার্ডে ঢুকেছে। নিকাশি ব্যবস্থার কোনও ত্রুটি নেই। বোট পাঠিয়ে আটকে পড়া মানুষজনকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে।
অন্যদিকে রামপুরহাট শহরের নিশ্চিন্তপুরে ছ’ফুকো এলাকায় মঙ্গলবার রাতের বৃষ্টিতে হাঁটুজল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। ফলে, রামপুরহাট-দুমকা রোডে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। শহরের পাখুড়িয়া রোডও জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এদিকে দ্বারকা নদের জল ছাপিয়ে তারাপীঠ-আটলা রোড জলের তলায় চলে গিয়েছে। একইভাবে আটলা থেকে চাকপাড়া হয়ে জাতীয় সড়কে ওঠার রাস্তায় কোমর সমান জল। ক্রমশ জল বেড়ে চলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাঁশ ফেলে ওই রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বিঘার পর বিঘা জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা বলেন, যেভাবে জল বাড়ছে তাতে আটলা গ্রামও জলের তলায় চলে যাবে। রীতিমতো শঙ্কিত মানুষজন। রামপুরহাটের মহকুমা শাসক শ্বেতা আগরওয়াল বলেন, বেশকিছু এলাকা জলমগ্ন হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলার টিমকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।