কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মঙ্গলবার রাতে ১১২ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর স্বাস্থ্যদপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৮৮১। তারপর বুধবার র্যাপিড টেস্ট এবং সন্ধ্যায় আরজি কর মেডিক্যাল থেকে আরও শ’খানেক পজিটিভ রিপোর্ট আসে। তাতেই জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজারের দোড়গোড়ায় পৌঁছে যায়। জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ১৬৩৫ জন।
সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্যদপ্তর। এই মুহূর্তে জেলায় ছ’শোর বেশি করোনা আক্রান্ত হোম আইসোলেশনে আছেন। তবে, অনেকেই রোগ লুকতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনছেন বলে স্বাস্থ্যদপ্তরের অফিসারদের দাবি। জেলার তমলুক, হলদিয়া ও কাঁথি পুরসভা এলাকায় সংক্রমণ দ্রুত ছড়াচ্ছে। তমলুক শহরে এপর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১০০। গত ২২ জুন পুরকর্তৃপক্ষ শহরে পলিথিন ব্যবহারে জরিমানার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। কিন্তু করোনার ভয়ে অভিযানে নামেনি। কাঁথি পুরসভার দু’জন স্বাস্থ্যকর্মীর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ। সোমবার একজন এবং মঙ্গলবার আর একজনের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। কাঁথি-১ ও ৩ ব্লকের বিভিন্ন জায়গাতেও দ্রুত করোনা বাড়ছে। তবে, কোলাঘাট এবং শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের অবস্থা আরও শোচনীয়। প্রতিদিন গড়ে ১০ জনের বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন ওই দুই ব্লকে।
কাঁথি-৩ ব্লকে সারদা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মোট চারজন, পাঁশকুড়ার নারান্দায় একজন, কোলাঘাট ব্লকের জঁফুলি ও উত্তর জিঁয়াদা গ্রামে দু’জন, ছাতিন্দা গ্রামে একজন, কেটিপিপি টাউনশিপে একজন, গোপালপুরে একজন, এগরার মুণ্ডমারী গ্রামে একজন, কসবা এগরার একজন, কাঁথি পুরসভার ২০নম্বর ওয়ার্ডে একজন, ময়না ব্লকের তিলখোজা গ্রামে দু’জন আক্রান্ত হয়েছেন।
করোনা আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থার প্রতি নজর রাখতে জেলায় সমস্ত সেফ হোমে দু’জন করে ডাক্তার, চারজন নার্স, তিনজন স্বাস্থ্যকর্মী রাখা হচ্ছে। বুধবার ময়নার সেফ হোমে মোট চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৩৯। এর আগে সর্বাধিক ৭৮ জন একসঙ্গে ছিলেন। কিন্তু, এই মুহূর্তে আক্রান্তদের হোম আইসোলেশনে জোর দেওয়ায় সেফ হোম এবং করোনা হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা কিছুটা কমছে। বাড়িতে থাকা করোনা আক্রান্তদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে প্রত্যেক বিএমওএইচকে কন্ট্রোল রুম চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই কন্ট্রোল রুম থেকে দিনে দু’বার করে আক্রান্তদের কাছে ফোন যাচ্ছে। কারও শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত স্থানান্তর করা হচ্ছে কোভিড হাসপাতালে। এদিন নন্দীগ্রাম-১বিডিও অফিসে অফিসার ও কর্মীদের র্যাপিড টেস্ট হয়েছে। তার মধ্যে দু’জনের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। অন্যান্য ব্লকেও টেস্ট হয়েছে। তবে, সরকারি কর্মীদের একটা অংশ টেস্টে অনীহা দেখাচ্ছেন বলেও জানা গিয়েছে।