গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষকদের জন্য এই শস্যবিমা প্রকল্পের পুরো নাম ‘বাংলা শস্যবিমা’। সংক্ষেপে যাকে বলা হয়, ‘বিএসবি’। ২০২০ সালের খরিফ মরশুমের জন্য এই বিমা করানো হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং এগ্রিকালচার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি অব ইন্ডিয়া লিমিটেড-এর উদ্যোগে এই শস্যবিমা প্রকল্প করানো হচ্ছে। এর জন্য অনলাইনেই আবেদন করতে হচ্ছে। তবে, গত বছর আমনে যাঁরা শস্যবিমা করিয়েছিলেন, তাঁদের এবার নতুন করে আবেদন করতে হচ্ছে না। এ বছরও তাঁদের নাম সরাসরি নথিভুক্ত হয়ে যাচ্ছে। দ্বিতীয়ত, যাঁদের কৃষকবন্ধু প্রকল্পে নাম রয়েছে, তাঁদেরও আবেদন করতে হচ্ছে না। তাঁদের নামও নিজে থেকেই নথিভুক্ত হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ তাঁরাও বিমার সুবিধা পাবেন।
গত বছর যাঁরা শস্যবিমা করাননি, শুধুমাত্র সেই নতুন কৃষকদের এ বছর আবেদন করতে হচ্ছে। অনলাইনের আবেদনপত্রে এলাকা, কৃষক এবং তাঁর জমির বিস্তারিত তথ্য জমা করতে হচ্ছে। যেমন, ভোটার কার্ড, অ্যাকাউন্ট নম্বর, ব্যাঙ্কের পাসবইয়ের কপি, ক্যান্সেল চেক সহ ব্লকের নাম, গ্রাম পঞ্চায়েত, গ্রাম, মৌজা, জেএল নম্বর সব উল্লেখ করতে হবে। যাঁর নিজের নামে জমি রয়েছে, তাঁকে জমির খতিয়ান ও পরচা জমা দিতে হবে। যাঁর নামে জমি নেই, যে কৃষককে ‘ল্যান্ড পজেসন সার্টিফিকেট’ জমা দিতে হবে। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ওই সার্টিফিকেট দিতে পারবেন।
কৃষকদের জমির পরিমাণের উপরই শস্যবিমা করানো হয়। তাই অনলাইনে আবেদনের সময় আমন ধান চাষ করা জমির পরিমাণও উল্লেখ করতে হচ্ছে। রাজ্য থেকে আমন ধানে হেক্টর প্রতি ক্ষতিপূরণের টাকাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। জেলা ভিত্তিক তা আলাদা আলাদা করা হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলার জন্য হেক্টর প্রতি ৬৬ হাজার ৭১৭ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলে ওই টাকার হিসেবে কৃষকরা নিজের জমির পরিমাণ অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ পাবেন। পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৩ লক্ষ ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে এবার আমন চাষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। জেলার ২৩টি ব্লকের মধ্যে ২১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ২১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং তিনটি পুরসভার অধীনে এই জমি রয়েছে। তাই ৩ লক্ষ ৮০ হাজার হেক্টর জমি যাতে শস্যবিমার আওতায় নিয়ে আসা হয় সেই উদ্যোগ নিয়েছে কৃষকদপ্তর। ফলে, কোনও কৃষকই বাদ যাবেন না।
পূর্ব বর্ধমান জেলা কৃষিদপ্তরের উপ অধিকর্তা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এখন আমন চাষে শস্যবিমায় নাম নথিভুক্ত চলছে। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রতিটি কৃষক এই শস্যবিমা করাতে পারবেন। আমরা জেলাজুড়ে সচেতনতামূলক প্রচারও করছি। লিফলেটও বিলি করছি। ৩১ আগস্টের মধ্যেই আমরা লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারব।