পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ধৃত জেরায় জানিয়েছে, রেহান তার মায়ের মোবাইল নিয়ে বাইরে খেলছিল। সেই সময় তাকে সে ডেকে নিয়ে যায়। পরিচিত হওয়ায় রেহানও তার সঙ্গে চলে যায়। এরপরে তাকে এক জায়গায় আটকে রেখে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বিড়ির ছ্যাঁকা দেয়। অভিযুক্ত তার বাঁ হাত মুচড়ে দেয়। এরপর আমের ডাল দিয়ে সজোরে মাথায় মারতে যায়। আঘাত লাগে চোখে। তাতে রক্ত ঝরতে থাকে। এরপরেই তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। পরে মৃতদেহ একটি নার্সিংহোমের পিছনে ফেলে যায়। তাড়াহুড়ো করে পালাতে গিয়ে অভিযুক্তের একটি চটি খুলে যায়। সেটাই তার কাল হল।
পুলিস এই ঘটনায় সন্দেহজনক অনেককেই জেরা করে। তবে উদ্ধার হওয়া চটি হয়ে ওঠে দুষ্কৃতীকে ধরার অন্যতম হাতিয়ার। সন্দেহভাজনদের জেরার পর ওই চটি পরতে দেওয়া হয়। তাদের কারও পায়ে সেটি হয়নি। কিন্তু ‘বোবা’র পায়ে খাপ খেয়ে যায়। তাকে ঘিরে পুলিসের সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়। তারপরই শুরু হয় দফায় দফায় জেরা। দীর্ঘ জেরার পর সে খুনের কথা স্বীকার করে বলে পুলিসের দাবি। জঙ্গিপুরের পুলিস সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, ধৃতকে জেরা করা হচ্ছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কিশোর অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় রেহানকে তুলে নিয়ে খুন করেছে। বিভ্রান্ত করতে মুক্তিপণ দাবি করেছিল। সে জেরায় জানিয়েছে, রেহানের বাবার সঙ্গেই সে বিড়ি কারখানায় কাজ করত। লটারির দু’লক্ষ টাকা নিয়ে টানাপোড়েনের বিষয়টিও সে জানত। সেকারণেই সন্দেহের তির অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে মুক্তিপণ দাবি করেছিল। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই যেভাবে ঠান্ডা মাথায় খুন করেছে, তাতে পুলিসও বিস্মিত। খতিয়ে দেখছে ধৃতের অতীত রেকর্ড। তবে মৃত নাবালকের পরিবারের দাবি, অভিযুক্ত খুব কমই তাদের এলাকায় আসত। তাছাড়া রেহানও তাকে উত্তেজিত করেনি। রেহানের মা রহিমা বিবি বলেন, অভিযুক্ত আমাদের বাড়িতে অনেক আগে এসেছিল। সম্প্রতি বেশ কিছুদিন আসেনি। তাহলে তাকে আমার ছেলে উত্তেজিত করবে কীভাবে? আমার ছেলের পক্ষে এতটা রাস্তা হেঁটে ওদের এলাকায় যাওয়াও সম্ভব নয়। ওই কিশোর খুন করতে পারে। কিন্তু খুনের পিছনে অন্য কারও হাত রয়েছে বলেই আমাদের মনে হচ্ছে।