বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গত ৬ ও ৭আগস্ট প্রতিটি বিডিও এবং এসডিও অফিসে ড্রপবক্সে আবেদন নেওয়া হয়েছে। উম-পুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সত্ত্বেও ক্ষতিপূরণ থেকে বাদ পড়া লোকজনের জন্য রাজ্য সরকার ফের আবেদন নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু, ১০আগস্ট সোমবারও আবেদন নিয়ে পটাশপুর-২ এবং কাঁথি-৩ব্লকে কয়েকশো লোক জড়ো হয়েছিলেন। ড্রপবক্সে আবেদন জমা করার সময়সীমা শেষ হওয়ায় তাঁদের কাছ থেকে আবেদন নেওয়া যায়নি। এই অবস্থায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁদের কেউ কেউ বিডিও অফিসে চড়াও হন। পটাশপুর-২ বিডিও অফিসের সামনে লাঠিচার্জ করে জমায়েত সরায় পুলিস। একইভাবে কাঁথি-৩ বিডিও অফিসেও ব্যাপক গণ্ডগোল হয়। বিক্ষোভ ছড়িয়েছিল খেজুরি-১ ও ভগবানপুর-১ বিডিও অফিসেও। মঙ্গলবার জন্মাষ্টমী উপলক্ষে অফিস ছুটি। আজ, বুধবার ফের আবেদন জমা নিয়ে অশান্তির আশঙ্কা রয়েছে। সেজন্য বিডিও অফিসে পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা থাকবে বলে জানা গিয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরে প্রায় আড়াই লক্ষ ক্ষতিগ্রস্তের অ্যাকাউন্টে ২কোটি ৬৪লক্ষ টাকা গিয়েছে। রাজ্য সরকার তিন দফায় মোট ২৬৮কোটি টাকা পঠিয়েছিল। তারপরও ৬ ও ৭আগস্ট জেলায় ২লক্ষের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। বিভিন্ন ব্লকে আরও কয়েক হাজার মানুষ আবেদন জমা করতে চাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে প্রশাসন।
শুধুমাত্র সরকারি অফিসার ও কর্মীরাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে ওই কাজ সারছেন। প্রত্যেক ব্লকে একজন করে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পাঠানো হয়েছে। একেবারে ভোটের সময় পর্যবেক্ষকের মতো ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটরা গোটা পর্ব খতিয়ে দেখছেন। যাতে একজন ক্ষতিগ্রস্তও ক্ষতিপূরণ থেকে বাদ না পড়েন, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক পার্থ ঘোষ। জেলায় ২২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতে একজন করে নোডাল অফিসার আছেন। ওইসব নোডাল অফিসারদের সঙ্গে ব্লকের অফিসাররা আবেদনকারীদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। তালিকা মেলানোর সময় দেখা যাচ্ছে, একই বাড়ির চার-পাঁচজন আবেদন করেছেন। আবার ক্ষতিপূরণ পাওয়া সত্ত্বেও একই বাড়ি দেখিয়ে আবেদন এসেছে প্রচুর। কেউ কেউ আবার টালি এবং টিনের চালা সরিয়ে তার উপর ত্রিপল বেঁধে দিয়েছেন। আজ সন্ধ্যায় ক্ষতিগ্রস্ত তালিকা বিভিন্ন ব্লক এবং মহকুমা শাসকের অফিস থেকে জেলায় আসবে। তারপর ভুয়ো আবেদনের সংখ্যা জানা যাবে। সংখ্যাটা ৬০থেকে ৭০ভাগ বলে বিডিওরা মনে করছেন।