কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মেদিনীপুর ডিপো থেকে কলকাতা, হাবরা, বারাসত, দুর্গাপুর, বর্ধমান, বহরমপুর, তারাপীঠ সহ বিভিন্ন রুটের বাস চলাচল করে। সব মিলিয়ে এই ডিপোর ৫৫টি বাস রয়েছে। করোনাপর্বের আগে প্রতিটি রুটেই ভালো ভিড় হতো। লকডাউন শুরুর পর ছবিটা বদলে যায়। গত জুলাই মাসের মাঝামঝি সময় মেদিনীপুর ডিপোর পাঁচজন কর্মী করোনায় আক্রান্ত হন। তারমধ্যে বাসের চালক ও কন্ডাক্টরও রয়েছেন। তার জেরে ১৬ তারিখ থেকে ডিপো বন্ধ করে দেওয়া হয়। গোটা এলাকা কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ফলে, সব রুটেই সরকারি বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গত ২ আগস্ট ফের ডিপো চালু হয়। প্রথমে হাতে গোনা কয়েকটি রুটের বাস চলাচল শুরু হয়। পরে যাত্রী হওয়ায় ধীরে ধীরে বাসের সংখ্যা বাড়তে থাকে। গত এক সপ্তাহ ধরে এই ডিপো থেকে ৪০টি বাস বিভিন্ন রুটে চলছে। লকডাউনের গুঁতোয় ডিপোর রোজগারও ধাক্কা খেয়েছে।
ডিপো সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউনের আগে বিভিন্ন রুটে বাস চালিয়ে গড়ে প্রতিদিন ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আয় ছিল। কিন্তু, গত জুন মাস নাগাদ আয় কমে ২ লক্ষ টাকা হয়েছে। জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে সমস্ত রুটের বাস চলাচল বন্ধ ছিল। সেই সময় কোনও আয় হয়নি। গত এক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন রুটের বাস চলাচল শুরু হওয়ায় এখন আয় কিছুটা বেড়েছে। জানা গিয়েছে, সবংয়ের একটি রুটে কন্টেইনমেন্ট জোন থাকায় বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তারাপীঠ রুটেও বাস বন্ধ রাখা হয়েছে। কলকাতা রুটের সব বাস এখন চালানো হচ্ছে না। যাত্রীদের চাহিদা মেনেই বাস চালানো হচ্ছে। বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা গেল, বেসরকারি বাসের সঙ্গে লাইন দিয়ে সরকারি বাসও দাঁড়িয়ে রয়েছে। যদিও কাউন্টারে টিকিট নেওয়ার জন্য খুব বেশি ভিড় নেই। তবে বাসচালক ও কর্মীরা মনে করছেন, যেহেতু সুস্থতার হার বাড়ছে, ফলে মানুষের মন থেকে আতঙ্কও ধীরে ধীরে কাটছে। আগের তুলনায় যাত্রী যে বেশি হচ্ছে, এটা ভালো লক্ষণ।