পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে রয়েছে বড় পাইকারি সব্জি বাজার। কালেখাতলা, পারুলিয়া ও ফলেয়াতে তিনটি বড় পাইকারি বাজার রয়েছে। এখান থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় সব্জি যায়। পাইকারি বাজারের সঙ্গে খুচরো বাজারের পার্থক্য সব সময়ই থাকে। কিন্তু, এখন সেই ফারাক অনেকটাই বেশি। মঙ্গলবার পূর্বস্থলীর পাইকারি সব্জি বাজারে জমির পটল ১৮ টাকা এবং মাচার পটল ২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। সেই পটল বর্ধমান সহ বিভিন্ন খুচরো বাজারে বিক্রি হয়েছে ৩০-৫০ টাকায়। পাইকারিতে স্থানীয় কুমড়ো ৬ টাকা ও বাঁকুড়ার কুমড়ো ১১ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও খুচরো বাজারে কুমড়ো ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে ১৫ টাকার ঢ্যাঁড়স, খুরচো বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। লঙ্কা পাইকারিতে ৫০ টাকা (বিহার) থেকে ৬০ টাকা (স্থানীয়) কেজি দরে বিক্রি হলেও খুচরো বাজারে দাম ১০০-১৫০ টাকা। একইভাবে ১৬ টাকার ঝিঙে ৩০-৩৫ টাকায়, ১৮ টাকার শসা ৪০ টাকায়, ১৪ থেকে ৩০ টাকার বেগুন ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টম্যাটো ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে আদা ও রসুন ১১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও খুচরো বাজারে আদা ১৬০-১৭০ টাকা এবং রসুন কেজি প্রতি ২০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারিতে আলু ৫০ কেজির বস্তার দাম ১২৪০ টাকা। অর্থাৎ ২৪ টাকা ৫০ পয়সা কেজি। খুচরো বাজারে আলু ২৮ টাকার ওপরে। পেঁয়াজের দাম বিরাট ফারাক নেই। পেঁয়াজ পাইকারিতে ১৮০০ টাকা কুইন্টাল। অর্থাৎ ১৮ টাকা কেজি। খুচরো বাজারে পেঁয়াজ ২২-২৫ টাকা।
পাইকারি বাজারে যা দাম চাষিরা তার চেয়েও কম দাম পান। সেই সঙ্গে ফসল তোলা এবং আড়ত পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার বাড়তি খরচ আছে। গোঁসাই দাস মণ্ডল নামে এক বেগুন চাষি বলেন, খুচরো বাজারে দাম অনেক বেশি। কিন্তু, আমাদের তো অনেক চাষ। তাই দাম কম হলেও আড়তেই বিক্রি করি। তাই লাভের মুখ দেখতে পাই না।
তবে কালেখাতলা আড়তদার সমিতির সম্পাদক ক্ষুদিরাম মাহাত বলেন, কিছুদিন আগে জোগান বেশি থাকায় চাষিরা আরও কম দাম পাচ্ছিলেন। এখন সব্জির উপাদন অনেক কম। তাই চাষিরা কিছুটা হলেও দাম পাচ্ছেন।