বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বলেন, সংক্রমণ রোধে আনলক পর্বে পুরোপুরি তো সবকিছু বন্ধ করা যাবে না। তাই কন্টেইনমেন্ট জোনগুলির এলাকা আরও বাড়িয়ে ‘এনহ্যান্স কন্টেইনমেন্ট জোন’ করার নতুন পদক্ষেপ নিতে চলেছি। তিনি বলেন, কোনও একটা সংসদ বা গ্রাম পঞ্চায়েতে যখন সংক্রমণ বাড়ছে তখন সম্পূর্ণ লকডাউন না করে ওই এলাকাকে ‘এনহ্যান্স কন্টেইনমেন্ট জোন’ করব। যাতে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত বা সংসদের মানুষ গ্রিন এলাকায় যেতে না পারেন। রবিবারই বিডিওদের বলা হয়েছে। তাঁরা যেরকম প্রস্তাব পাঠাবেন, সেইমতো এনহ্যান্স কন্টেইনমেন্ট জোনের নোটিফিকেশন ইস্যু করব।
জেলাশাসকের মতে, এতদিন আক্রান্তের বাড়ি বা সেই পাড়া কন্টেইনমেন্ট জোন করা হতো। কিন্তু, এখন অ্যান্টিজেন টেস্টের সংখ্যা বেড়েছে। ফলে, পজিটিভ কেসের সংখ্যাও বাড়ছে। সেই সঙ্গে যে গ্রাম পঞ্চায়েত বা সংসদে এখনও পজিটিভ কেস পাওয়া যায়নি সেই এলাকায় জীবাণু ছড়িয়েছে কি না তা জানতে অ্যান্টিজেন কিট নিয়ে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। যদি দেখা যায় ওই পঞ্চায়েতের দু’টি সংসদ ভাইরাস মুক্ত রয়েছে, বাকি সংসদগুলিতে পজিটিভ কেস পাওয়া যাচ্ছে, তখন ওই সংসদগুলিকে একসঙ্গে নিয়ে ‘এনহ্যান্স কন্টেইনমেন্ট জোন’ করে আলাদা করা হবে। যাতে মুক্ত এলাকার মানুষ সংক্রামিত না হন। এভাবেই সংক্রমণ অনেকটা আটকাতে পারব বলে মনে করছি।
স্বাস্থ্যদপ্তর মনে করছে, সংক্রমণ প্রতিরোধে যে প্রাথমিক সতর্কতা প্রয়োজন, সেটুকুও বেশিরভাগ এলাকায় মানা হচ্ছে না। বাজারে অনিয়ন্ত্রিত ভিড়ই এর বড় কারণ। কন্টেইনমেন্ট জোনগুলিতেও মানুষজন যাতায়াত করছেন। এই অবস্থায় সংক্রমণ ঠেকাতে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে নতুন করে রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলায় ৪১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর মধ্যে মুরারই-২ ব্লকের ২৪ জন ও একজনের বাড়ি লাগোয়া মুর্শিদাবাদ জেলায়। ব্লক স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, আক্রান্তের অধিকাংশই উপসর্গহীন। নলহাটি-১, ২ ব্লক ও পুরসভা মিলিয়ে পাঁচজন সংক্রামিত হয়েছেন। রামপুরহাট পুরসভা ও ১ ব্লক মিলিয়ে আটজনের দেহে ভাইরাস মিলেছে। ময়ূরেশ্বর-১ ব্লকে কলকাতা ফেরত এক ব্যক্তির লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। মুরারই-২ ব্লকেও দু’জন আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে, দুবরাজপুরের ৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় একই পরিবারের দেড় বছরের শিশু সহ তিনজনের শরীরে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। ওই বাড়ির এক যুবক প্রথম করোনা আক্রান্ত হন। বর্তমানে তিনি কোভিড হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এরপর তাঁর দেড় বছরের শিশু সহ বৃদ্ধ বাবা-মায়েরও করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তবে, ওই যুবকের বাবা-মাকে সেফ হোমে রাখার জন্য বোঝাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় পুলিস-প্রশাসনকে। অবশেষে গভীর রাতে শিশুটিকে বাড়িতে রাখা হলেও যুবকের বাবা-মাকে বোলপুরের সেফ হোমে পাঠানো হয়েছে।