পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বোলপুর শহরের মধ্যস্থলে অবস্থিত রয়েছে ডাকবাংলো মাঠ। তার পাশে রয়েছে বোলপুর স্টেডিয়াম মাঠ। এই স্টেডিয়ামে নানা ধরনের খেলাধুলোর আয়োজন করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি বেশকিছু অনুষ্ঠান হয় এখানে। এই স্টেডিয়াম সবার জন্য সবসময় উন্মুক্ত নয়। স্টেডিয়ামের পাশেই রয়েছে ডাকবাংলো মাঠ। যা আগে বোলপুরের তরুণ ও কিশোরদের খেলাধুলোর প্রধান জায়গা ছিল। প্রবীণরাও প্রাতঃ ও সান্ধ্যভ্রমণে মাঠে আসতেন। এই ডাকবাংলো মাঠের দু’টি অংশ রয়েছে। মাঝে জেলা পরিষদের বাংলো ও হস্টেল আছে। দু’দিকের মাঠেই একইভাবে খেলাধুলো চলত। বিভিন্ন স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা সেখানে ক্রিকেট, ফুটবল ও অন্যান্য খেলায় মেতে থাকত। কিন্তু, সেই ডাকবাংলো মাঠ এখন প্রাচীর দিয়ে ঘিরে সাধারণের প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রাচীর দিয়ে ঘেরা সেই মাঠে এখন মাঝে মাঝে মেলা ও রাজনৈতিক সমাবেশ হয়। বাকি সময়টা ফাঁকাই পড়ে থাকে। বোলপুরের সাধারণ মানুষকে সেই মাঠ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সোচ্চার হয়েছেন নাগরিকরা। বিভিন্ন নেটওয়ার্কিং সাইটে এবিষয়ে আওয়াজ তুলে মাঠকে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে ডাকবাংলো মাঠ বন্ধ থাকায় আগাছার জঙ্গলে পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে। বোলপুরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শহরে মাঠের সংখ্যা খুবই কম। তার ফলে খেলাধুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে নতুন প্রজন্ম। তারা সকলেই মোবাইলে ব্যস্ত। পাশাপাশি শহরের প্রবীণরা রাস্তার মধ্যে প্রাতঃ বা সান্ধ্যভ্রমণ করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। তাই সকলের জন্য এই মাঠ অবিলম্বে খুলে দেওয়া উচিত।
জেলা পরিষদের মেন্টর অভিজিৎ সিংহ বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে মাঠের পরিচর্যা করা হয়নি। বোলপুরের বাসিন্দাদের ভাবনাকে সম্মান জানিয়ে খুব শীঘ্রই ডাকবাংলো মাঠ খুলে দেওয়া হবে। কিন্তু, সকাল ৬টা থেকে ৯টা ও বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মাঠ সর্বসাধারণের জন্য খোলা থাকবে।