বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মুর্শিদাবাদের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, এই ইঞ্জেকশন সব রোগীদের দেওয়া যায় না। বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করা যায়। আমাদের জেলায় এর আগে দু’জনের শরীরে ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করা হয়েছিল। তাতে সাফল্য পাওয়া গিয়েছে। খোলাবাজারে প্রেসক্রিপশন ছাড়া এই ইঞ্জেকশন বিক্রি করা যায় না। এক আধিকারিক বলেন, আগামীদিনে মূল্যবান এই ইঞ্জেকশনের জোগান আরও বাড়ানো হবে। জটিল রোগীদের ক্ষেত্রে এই ইঞ্জেকশন প্রয়োগের সাফল্য আসায় বিভিন্ন রাজ্যের চাহিদা রয়েছে। রাজ্য সরকারকে অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে এই ধরনের ইঞ্জেকশন জোগাড় করতে হচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকার একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। ইতিমধ্যে জেলায় জেলায় অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হয়েছে। এই পদ্ধতিতে কোনও কোনও জেলায় প্রতিদিন গড়ে ৩০০টি টেস্ট হচ্ছে। অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে ফলাফল দ্রুত জানা যাচ্ছে। সেকারণে চিকিৎসাও তাড়াতাড়ি শুরু করা যাচ্ছে। সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আরও প্রায় ৭০ হাজার অ্যান্টিজেন কিট পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় সেফহোম তৈরি হয়েছে। সেখানেও আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। যদিও হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীদের একাংশের অভিযোগ, স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে তেমন সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক সময় ওষুধ পেতেও সমস্যা হচ্ছে। এছাড়াও কোনও কোনও কোভিড হাসপাতালের ভেন্টিলেশনে চিকিৎসা নিয়েও অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। যদিও আধিকারিকদের দাবি, বিক্ষিপ্তভাবে কোথাও কোথাও এই ধরনের ঘটনা হলেও এটা সামগ্রিক চিত্র নয়। রাজ্য সরকার রোগীদের জন্য অনেক মূল্যবান ওষুধ ফ্রিতে দেওয়ার বন্দোবস্ত করেছে। তার মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য রেমডেসিভির ইঞ্জেকশন। জেলার কোভিড হাসপাতালগুলিতে বেডের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। উপসর্গ থাকা রোগীদের বেশি সংখ্যায় এই হাসপাতালগুলিতে ভর্তি করা হচ্ছে। কিছু কিছু রোগীর বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা থাকায় তাঁদের পরিস্থিতি জটিল হয়ে যাচ্ছে। ওই সমস্ত রোগীদের জন্য বাড়তি বেশকিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য সরকার।
মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, আপাতত আমাদের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছ’টি ইঞ্জেকশন পাঠানো হচ্ছে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরে আধিকারিকদের দাবি, করোনা আক্রান্ত হলেই এই ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করা যায় না। লিভার, ব্লাডপ্রেসার সহ বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা প্রয়োজন মনে করলে তবেই তা প্রয়োগ করতে পারেন।