বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পূর্ব মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, করোনা উপসর্গ নিয়ে অনেকেই কোয়াক ডাক্তার কিংবা প্রাইভেট ডাক্তারের চেম্বারে যাচ্ছেন। কয়েকদিনের মধ্যেই শ্বাসকষ্ট শুরু হচ্ছে। তখন সরকারি হাসপাতালে আনা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের তো কিছু করার থাকছে না। গত কয়েকদিনে এরকম বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা উপসর্গ নিয়ে এখন আর কারও ধোঁয়াশা নেই। তাই আমাদের একটাই আবেদন, উপসর্গ থাকলে কাছের ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র কিংবা গ্রামীণ হাসপাতালে যান। টেস্ট করার পর আমরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা করব।
জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। রবিবার রাতে দু’দফায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় আরও ৯৮জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। তালপাটি কোস্টাল থানার ওসি এবং দুই কনস্টেবল করোনা আক্রান্ত বলে পুলিস সুপার সুনীলকুমার যাদব জানিয়েছেন।
সোমবার মেচগ্রামে করোনা হাসপাতালে এক আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। বাড়ি হলদিয়া পুরসভার দুর্গাচক এলাকার। দু’-তিনদিন ধরেই ওই আক্রান্ত মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন। রবিবার নন্দকুমার থানার উত্তর সাউতানচক গ্রামের এক ব্যক্তিকে শ্বাসকষ্ট উপসর্গ নিয়ে তমলুক জেলা হাসপাতালে আনা হয়। র্যাপিড টেস্টে পজিটিভ রিপোর্ট আসে। পাঁশকুড়ার কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সেই মৃত্যু হয় তাঁর। শনিবার একইভাবে পাঁশকুড়া পুরসভার চাঁপাডালি এলাকার এক ব্যক্তি প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হন। র্যাপিড টেস্টে পজিটিভ রিপোর্ট আসার পর মেচগ্রামে কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সিঁড়িতেই মারা যান। তাঁর মেয়ে পাঁশকুড়া থানার এএসআই। ওই দিনই শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের কাঁকটিয়ার এক নলকূপ মিস্ত্রি শ্বাসকষ্ট নিয়ে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি হন। র্যাপিড টেস্ট পজিটিভ আসে। মেচগ্রামে যাওয়ার পথে মারা যান।
গত ৬আগস্ট তমলুক পুরসভা এলাকার তিনজন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। পুরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের একজনকে প্রবল শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আইসোলেশন ওয়ার্ডে তিনি মারা যান। পরে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ১৮নম্বর ওয়ার্ডে ডহরপুর এলাকার এক বৃদ্ধা এবং ১২নম্বর ওয়ার্ডের প্রৌঢ় করোনা আক্রান্ত অবস্থায় পাঁশকুড়ার কোভিড হাসপাতালে মারা যান। ৫নম্বর ও ১৮নম্বর ওয়ার্ডের দু’জনকেই একেবারে শেষ মুহূর্তে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ওই দিনেই কাঁথি শহরের বাসিন্দা তথা বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কের কাঁথি-১ব্লকের খলিশাভাঙা শাখার এক অফিসার করোনা আক্রান্ত হয়ে কলকাতার একটি হাসপাতালে মারা যান। গত ৬আগস্ট এগরা-২ব্লকের মঞ্জুশ্রী গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাটদা গ্রামে এক বৃদ্ধ প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হন। কিছুক্ষণের মধ্যেই হাসপাতালে তিনি মারা যান। র্যাপিড টেস্টে পজিটিভ রিপোর্ট আসে। মহিষাদলে নাটশাল এলাকার একজন বৃদ্ধকে তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরই তাঁর মৃত্যু হয়। দেহ সৎকারের পর পজিটিভ রিপোর্ট আসে।