পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ডেপুটি সিএমওএইচ(৩) কেকা মুখোপাধ্যায় বলেন, দুর্গাপুরে অতিরিক্ত মাত্রায় সংক্রমণ বাড়ছে। পরিবারের একজন আক্রান্ত হলেই বাকি সদস্যরা সংক্রামিত হচ্ছেন। যে কোনও বয়সের সদস্যদের মধ্যেই এই মারণ ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে। আমরা শহরের বাসিন্দাদের অনুরোধ করছি, পরিবারের কারও করোনা উপসর্গ দেখা দিলে বাড়ির ভিতরেও সকলে মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। এতে ভাইরাস অন্যদের শরীরে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকবে না। শনিবার থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত শহরে সংক্রমণ কিছুটা বেড়েছে। সেপকোর বাসিন্দা উত্তম মুখোপাধ্যায় এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা। তিনি সহ পরিবারের ছ’জন সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর নাতি থেকে বউমা, ছেলে, স্ত্রী একে একে সবারই রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তবে, তিনি একা নন, দুর্গাপুরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে পারিবারিক সংক্রমণের হার ক্রমশ বাড়ছে। বেনাচিতির এক ব্যবসায়ী পরিবারের ১১ জন, গোপালমাঠের সব্জি বিক্রেতার ঘরে দশ জন, সেপকোর ডিএসপি কর্মচারীর পরিবারের দশ জন, সিটিসেন্টারে এক চিকিৎসকের পরিবারের ছ’জন এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। দুর্গাপুরের সংক্রামিতদের নামের তালিকায় দেখা যাচ্ছে, প্রতিদিনই এরকম একাধিক পরিবারের সদস্যরা পরপর আক্রান্ত হচ্ছেন। যে বাড়িতে করোনা একবার প্রবেশ করছে সেখানকার সব সদস্যকেই কাবু করছে।
এর জেরে অনেক পরিবারে করুণ পরিণতিও ঘটছে। কিছুদিন আগেই দুর্গাপুর থানার ফরিদপুরে এক বৃদ্ধের মারা যাওয়া নিয়ে আলোড়ন পড়ে। জানা যায়, মৃত্যুর পর তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। প্রায় ১০ ঘণ্টা পর মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় প্রশাসন। তাঁর বড় ছেলে ও বউমা আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরে জানা যায়, ছোট ছেলে, স্ত্রী সহ পরিবারের বাকি সদস্যদের রিপোর্টও পজিটিভ এসেছে। অনেক ক্ষেত্রে এমন পরিস্থিতিও তৈরি হচ্ছে যে, করোনা আক্রান্তদের খোঁজ নেওয়ার লোক থাকছে না পরিবারে।
সম্প্রতি, প্রতি সপ্তাহে শহরের প্রায় একশো জন করে সংক্রামিত হচ্ছিল। তবে, শেষ তিনদিনে সংক্রমণের হার অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। বেনাচিতি, কোকওভেন, সিটিসেন্টার, বিধাননগর, টাউনশিপ সব জায়গাতেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলছে। কিন্তু শহরজুড়ে ব্যাপকহারে সংক্রমণ ছড়ালেও এখনও বেশ কিছু অসচেতনতার ছবি ধরা পড়ছে। অপ্রয়োজনে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানোর প্রবণতা কোনওভাবেই কমছে না। তারাই ভাইরাস ছড়াতে সহায়ক ভূমিকা নিচ্ছে বলে অনেকের দাবি। এছাড়া শহরের বিভিন্ন বাজারে ভিড়ের ছবিটাও যথেষ্ট উদ্বেগের।
এদিকে বুধবার থেকে আসানসোল পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে রানিগঞ্জের গির্জা পাড়া ও রাজারবাঁধ এলাকায় এবং আসানসোল রেলপাড়ের কর্মতীর্থে এই পরীক্ষা শুরু করা হবে। পুরসভার মেয়র পরিষদ সদস্য(স্বাস্থ্য) দিব্যেন্দু ভগৎ বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে তিনটি জায়গায় এই পরীক্ষা শুরু করছি। বাকি জায়গাগুলিতে দ্রত এই পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হবে। শহরের প্রত্যেক নাগরিককে আরও বেশি সচেতন হতে হবে।