কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ঘুটগোড়িয়ার ওই কারখানায় মূলত লোহার বার, সিট ও রড তৈরির কাজ হয়। শুক্রবারও রাতের শিফটে অল্প সংখ্যায় শ্রমিক কাজ করছিলেন। এক নিরাপত্তারক্ষী বলেন, অন্যান্য দিনের মতো আমি ও একজন গানম্যান গেটে ডিউটি করছিলাম। রাত দেড়টা নাগাদ জনা দশেক লোক কারখানার পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢোকে। তাদের গোডাউনের দিকে যেতে দেখে আমরা কিছুটা এগিয়ে যাই। তারপর ওদের সেখান থেকে চলে যেতে বলি। কথা না শুনলে পাকড়াও করে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিই। কিন্তু, ওরা পালিয়ে না গিয়ে পাল্টা আমাদের লক্ষ্য করে ইটের টুকরো ছুঁড়তে শুরু করে। এরপর আমরা একটু পিছিয়ে এসে আবারও ওদের চলে যেতে বলি। সেই সময় ওদের কয়েকজন ইট ও ভোজালি নিয়ে আমাদের দিকে দৌড়ে আসে। ওরা কাছাকাছি চলে আসায় নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে গানম্যান গুলি চালায়। তাতেই একজনের বুকে গুলি লাগে। সঙ্গে সঙ্গে বাকিরা পড়িমরি করে পাঁচিল টপকে চম্পট দেয়। ঘটনার কথা বড়জোড়া থানায় জানাই। ততক্ষণে কারখানার শ্রমিকরাও গুলির শব্দ শুনে বেরিয়ে আসে। পুলিস এসে গুলিবিদ্ধ ওই চোরকে উদ্ধার করে বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ওই নিরাপত্তারক্ষী আরও জানান, দুষ্কৃতীরা এর আগেও দু’-একবার ভিতরে ঢুকে চুরির চেষ্টা করেছিল। কিন্তু, আমরা হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর তারা পালিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, এবার যে ওরা আমাদের উপর পাল্টা চড়াও হবে বুঝতে পারিনি।
কারখানার জিএম বিদ্যুৎ বিদ বলেন, ভোররাতের দিকে ঘটনার কথা জানতে পারি। পুরো বিষয়টি পুলিসকে জানিয়েছি। দুষ্কৃতীদের হাত থেকে নিজেদের প্রাণ বাঁচাতেই গানম্যান গুলি চালিয়েছেন। কারখানার নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে।
বাঁকুড়া জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ সুখেন বিদ বলেন, শিল্পাঞ্চলে মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন কারখানায় ছিঁচকে চোরেদের উপদ্রব হয়। তবে নিরাপত্তারক্ষীদের চোরেরা চ্যালেঞ্জ করছে, এই ধরনের ঘটনা প্রথম। তাই আমরা চাই, পুলিস ঘটনাটি যথাযথ তদন্ত করুক। মৃতের সঙ্গে আর কে কে ছিল, তাদের চিহ্নিত করা হোক।